ফরিদপুরে রেলক্রসিংয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৫


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:২০ অপরাহ্ন, ৭ই জানুয়ারী ২০২৫


ফরিদপুরে রেলক্রসিংয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৫
ফাইল ছবি।

ফরিদপুরে রেলক্রসিংয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তিনজন ঘটনাস্থলে ও বাকি দুইজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।


মঙ্গলাবর (৭ জানুয়ারি) ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তারা দুুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে দুর্ঘটনার খবর পান। এরপর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উদ্ধারকাজে যোগ দেয়। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হলেও তারা সেখানে মারা যান।


আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ই-পাসপোর্ট পুরোপুরি চালু করা হবে


জানা যায়, গেরদা থেকে একটি সড়ক রেলপথ অতিক্রম করে মুন্সিবাজার এলাকায় মিলেছে। ওই পথে অবৈধ রেলক্রসিং রয়েছে। অনুমোদিত রেলক্রসিং না হওয়ায় ওই স্থানে রেলবিভাগের কোনো তত্ত্বাবধান নেই। দুপুরে মধুমতী এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি খুলনা থেকে ফরিদপুর হয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। অপরদিকে ওই মাইক্রোবাসটি গেরদা থেকে মুন্সিবাজারের দিক আসছিল। এ সময় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।


ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার সালমান হোসেন দুপুরে জানান, দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছেন। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি নিচের খাদে পড়ে যায়। সেটি উদ্ধার করা হয়েছে।ঘটনাস্থলে এসে তারা জানতে পেরেছেন আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।


ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালে দুইজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তারা দুইজনই নারী। বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে মাইক্রোবাসের চালকও রয়েছেন।


আরও পড়ুন: আইনের বাইরে কোন কাজ করা যাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা


ফরিদপুর রেলের স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাকদির হোসেন বলেন, গেরদায় রেলবিভাগের অনুমোদিত কোনো রেলক্রসিং নেই। তবে দুর্ঘটনার বিষয়ে আমি শুনেছি এবং খোঁজ নিয়েছি। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।


ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, আমি ও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি কেন ঘটল এবং ভবিষ্যতে কীভাবে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যায় সেটির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি নিহতদের মরদেহ বহন ও দাফনের জন্য যাবতীয় খরচ বহন জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হবে।


আরএক্স/