'করোনার মতোই' ছড়াতে পারে এইচএমপিভি, ভারতে সতর্কতা জারি!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:৫০ অপরাহ্ন, ৭ই জানুয়ারী ২০২৫
চীনে ছড়িয়ে পড়া নতুন ভাইরাস এইচএমপি এখন প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ঢুকে পড়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে এইচএমপিভি আক্রান্তের সংখ্যা সাতজনে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির গণমাধ্যম। সংক্রমণ বাড়ায় মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকসহ বেশ কিছু রাজ্যে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, সোমবার (৬ জানুয়ারি) ভারতের কর্নাটক, তামিলনাড়ু ও গুজরাটে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত পাঁচ শিশুর খোঁজ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ ঘটনায় উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
আরও পড়ুন: কলকাতায় আটকে পড়া ২২০ বাংলাদেশি ঢাকায় পৌঁছেছেন
এ ছাড়া সোমবার কর্নাটক, গুজরাট ও মহারাষ্ট্র সরকারসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য সতর্কতা জারি করেছে এবং জনগণকে আশ্বস্ত করেছে, শঙ্কার কোনো কারণ নেই। ভারত সরকার ইতোমধ্যে রাজধানীতে সমস্ত হাসপাতালকে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার সম্ভাব্য বৃদ্ধি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
সংক্রমণ এড়াতে হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা, মাস্ক পরা, একই রুমাল বার বার ব্যবহার না করা, সাবান ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, অসুস্থ ব্যক্তির থেকে দূরে থাকাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।
সংক্রমণ ও উপসর্গের দিক থেকে কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের সঙ্গে ‘মিল’ থাকায় এইচএমপিভিও করোনার মতো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স্ক ও শিশুরা এই ভাইরাসের সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০২০ সালের করোনা মহামারির পর এইচএমপিভি নতুন সংকট তৈরি করতে পারে।
তারা মনে করছেন, ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠান্ডা জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে, যা গুরুতর অবস্থায় নিউমোনিয়া পর্যন্তও গড়াতে পারে। সঠিক পদক্ষেপ না নিলে শীতের এই সময়ে ভাইরাসটি আরও সক্রিয় এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এমএল/