ধারাবাহিক রাজনৈতিক বক্তব্য জনগণ আর মেনে নিবে না: আমির খসরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৯ অপরাহ্ন, ১৮ই জানুয়ারী ২০২৫
ধারাবাহিক রাজনৈতিক বক্তব্য জনগণ আর মেনে নিবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমানের ৮৯ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন দরকার উল্লেখ করে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান বিএনপির
আমির খসরু বলেন, ধারাবাহিক রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে মনে হয় বাংলাদেশের জনগণ আর মেনে নিতে পারবে না। শেখ হাসিনা বিদায় হওয়ার পর বাংলাদেশের মানুষের বিরাট একটি মনোভাব তৈরি করেছে। মানুষের মনে যে প্রত্যাশা জেগেছে, যে আকাঙ্ক্ষা জেগেছে, যে নতুন বাংলাদেশ তারা দেখতে চাচ্ছে, সেটি আমাদের সবার ধারণ করতে হবে। রাজনৈতিকভাবে ধারণ করতে হবে, দল হিসেবে ধারণ করতে হবে। নতুন বাংলাদেশ কীভাবে গড়ব, সে বিষয়ে আমাদের প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর অবস্থান থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছি। তবে, মুক্ত চিন্তা ব্যতীত কোনো জাতি সামনের দিকে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। ক্ষমতা নেওয়ার পর তিন বছরের মধ্যে দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। কৃষক-শ্রমিক ব্যবসায়ী প্রত্যেকটি বিষয়ের ওপর তিনি জোরালো নজর রাখতেন।
আরও পড়ুন: মুজিবের নেতৃত্বে প্রথম গণহত্যা, দ্বিতীয়বার হাসিনার নেতৃত্বে : রাশেদ
বিএনপি এ নেতা বলেন, তারেক রহমান বলেছেন, কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি হবে না। যারা অপরাধ করেছে তাদের সঠিক বিচার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। যারা খুন হয়েছে, গুম হয়েছে, তাদের পরিবারের সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে এবং যারা অপরাধ করেছে তাদের সঠিক বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য ফ্যাসিস্ট রেজিম তৈরি করে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে, এমনকি সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও ধ্বংস করেছে।
এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডক্টর এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর শামীমা সুলতানা প্রমুখ।
এমএল/