নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কবে দিবেন: অধ্যক্ষ আলমগীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৩ অপরাহ্ন, ২১শে জানুয়ারী ২০২৫
বৈষম্য প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের ২য় দিন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পিরোজপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন।
অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে আপনারা নির্বাচন কবে দিবেন। সংস্কারের নামে অতিরিক্ত সময়ক্ষেপণ এদেশের মানুষ বরদাস্ত করবে না। এদেশের মানুষ অনেকদিন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে নাই। দেশের মানুষ মুখিয়ে আছে ভোট প্রদানের জন্য। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা তাদের জীবনে একবারও ভোট দিতে পারেনি। ভোট দেয়াটা অন্যতম নাগরিক অধিকার। সুতরাং সে অধিকার প্রয়োগের জন্য দেশ ও জাতি সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান বিএনপির
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার বিএনপিকে মাইনাস করে তারা চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে। বিএনপিকে মাইনাস করতে গিয়ে তারাই একসময় মাইনাস হয়ে গেছে। আজও বিএনপিকে মাইনাস করার নানারকম চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে বিএনপি জনগণের দল। জনগণের ভালবাসার দল। এই দলকে কখনো মাইনাস করা যাবে না। যারা মাইনাস করতে চান, তারাই একসময় মাইনাস হয়ে যাবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লেখক সাহিত্যিক সাংবাদিক কালাম ফয়েজী বলেন, এদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট একদিনে তৈরী হয়নি। এই পূর্ব বাংলায় নবাব সলিমুল্লাহ’র নেতৃত্বে ১৯০৫ সালে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ গঠিত হয়। এটিই ছিল সারা ভারতবর্ষের মুসলমানদের প্রথম রাজনৈতিক দল। এ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য যে রকম শিক্ষিত রাজনীতিবিদ, আমলা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন সেটা এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই পূর্ণতা পায়। ফলে তাদের দীর্ঘমেয়াদী আন্দোলন সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে দেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। একইভাবে ২০২৪ সালের আন্দোলনও দেড় মাসের আন্দোলনের ফসল নয়। এখানে দীর্ঘ দেড় যুগের অসংখ্য মানুষের ত্যাগ-তিতীক্ষা ও আন্দোলনের ফল। ১৮ বছর ধরে অনেক মানুষ প্রাণ দিয়েছে, গুম-খুনের শিকার হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয় এবং দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে মো. জহিরুল ইসলাম কলিম বলেন, আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্য দিয়ে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। যদি বিত্তবানরা এগিয়ে আসেন তাহলে সকল গরীব-দুঃখী মানুষের শীতের কষ্ট লাঘব হয়। এটা একটা সমন্বিত উদ্যোগ। আমরা সারাদেশে কম্বল বিতরণ করতে চাই। আশা করি আপনারা সবাই আমাদের পাশে থাকবেন।
আরও পড়ুন: একটি দল আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে: আলাল
বৈষম্য প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম কলিম এর সভাপতিত্বে বৈষম্য প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী, বৈষম্য প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি মো. মোস্তফা, বৈষম্য প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি রমিজ উদ্দিন রুমী, বৈষম্য প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, বৈষম্য প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, বৈষম্য প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি আশরাফুল আলম হান্নান, বৈষম্য প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মো. বেলাল হোসাইন, বৈষম্য প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের মহিলা সম্পাদিকা নীলা শেখ, বৈষম্য প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এড. শিরীন আখতার, ওসমান কোরাইশী, মো. কবির হোসেন প্রমুখ।
আরএক্স/