রেলে ‘রানিং অ্যালাউন্স’ বহাল রেখে প্রজ্ঞাপন জারি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৯ অপরাহ্ন, ২৯শে জানুয়ারী ২০২৫
সরকারের অর্থ বিভাগ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের ‘রানিং অ্যালাউন্স’ সুবিধা বহাল রেখে এই বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) অর্থবিভাগের উপসচিব সৈয়দ আলী বিন হাসানের স্বাক্ষরে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রানিং স্টাফ হিসেবে চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ভ্রমণ ভাতা বা দৈনিক ভাতার পরিবর্তে রেলওয়ে এস্টাবলিশমেন্ট কোডের বিধান অনুযায়ী রানিং অ্যালাউন্স প্রাপ্য হবেন। চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের জন্য রানিং অ্যালাউন্স ছাড়া অন্য কোনো ভাতা প্রাপ্য হবেন না।
আরও পড়ুন: ভারতকে কোনো প্রকার ছাড় নয়: বিজিবি প্রধান
মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিকের দাবি পূরণ না হওয়ায় সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন রানিং স্টাফরা। তাতে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সারাদিন সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। নজিরবিহীন এই পরিস্থিতিতে স্টেশনে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হয় আগাম টিকিটধারী যাত্রীদের।
এদিকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণার পর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ঘণ্টা পর আজ সকাল থেকে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে রেলের সূচি গড়বড় হওয়ায় বুধবার কোনো ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি।
গার্ড, লোকামাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার, সাব লোকো মাস্টার এবং টিটিইরা রেলের রানিং স্টাফ। এরা ট্রেন চালানোর সঙ্গে সরাসরি জড়িত। সারাদেশে রেলওয়েতে ১৭ শর বেশি রানিং স্টাফ কাজ করেন।
আরও পড়ুন: আবারও নতুন কর্মসূচি দিলেন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা
বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধার দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দেন রানিং স্টাফরা। কর্মবিরতির কারণে সোমবার মধ্যরাতের পর থেকেই রাজধানীর কমলাপুরসহ বিভিন্ন স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সারাদেশে মঙ্গলবারও বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার মানুষ।
পরে বুধবারের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের বাসায় বৈঠক শেষে মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন।
এমএল/