এখনো জ্বলছে সুন্দরবন, পানি ছিটাতে জোয়ারের অপেক্ষা
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:৩৬ অপরাহ্ন, ২৪শে মার্চ ২০২৫

ফাইল ছবি
সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশন সংলগ্ন তেইশের ছিলা এলাকায় ভয়াবহ
অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ। পানির সংকটের কারণে আগুন
নেভানোর কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। নিকটবর্তী ভোলা নদীতে বর্তমানে ভাটা থাকায় পাম্পের মাধ্যমে পানি
উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে আগুনে পানি ছিটানোর কাজ থমকে গেছে।
আরও পড়ুন: আট ঘণ্টা ধরে জ্বলছে সুন্দরবন, পানির উৎস পেতে বেগ
সোমবার (২৪ মার্চ) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত নদীতে পানি না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের পাম্প বন্ধ রাখতে হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,পানি ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে।
ছবি: প্রতিনিধি
স্থানীয়রা বলছেন, ভোলা নদীতে জোয়ারের পানি আসতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা আনসার হাওলাদার জানান, ভোলা নদীতে নাব্যতা কম থাকায় ভাটার সময় একেবারেই পানি
থাকে না। এখন নদীতে পর্যাপ্ত পানি আসতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হবে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন,‘আমরা রাত
থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু নদীতে পানি না থাকায় আগুনে পানি ছিটানো সম্ভব হচ্ছে না। বনকর্মীরা
আগুনের বিস্তার ঠেকানোর চেষ্টা করছে। জোয়ার এলেই পাম্প চালিয়ে পানি দেওয়া হবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবু বক্কর জামান
বলেন,‘আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রচুর পানি প্রয়োজন, কিন্তু পানির অভাবে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। রাতে কিছুক্ষণ
পানি ছিটানো গেলেও, ভাটা শুরু হলে পাম্প চালু রাখা সম্ভব হয়নি। ভোলা নদীতে জোয়ার এলে আবারও পানি ছিটানো শুরু হবে।’
আরও পড়ুন: এবার সুন্দরবন ধানসাগর এলাকায় আগুন
পানি সংকটের কারণে বন বিভাগ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা আগুনের বিস্তার ঠেকাতে আশপাশের এলাকায়
ফায়ার লাইন কেটে প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন। আগুন যাতে আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য সব বাহিনী একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
এসডি/