আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ফার্মেসী বিভাগের এলামনাই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, ২৩শে মে ২০২৫

আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ফার্মেসী বিভাগের এলামনাই পুনর্মিলনী-২০২৫ উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩শে মে) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নবম তলার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ পুনর্মিলনীতে বিভাগের ১ম ব্যাচ থেকে ১৯তম ব্যাচ পর্যন্ত শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবি’র ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি বিভাগ থেকে মো. শাহারিয়ার আলমের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফার্মেসি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোফিয়া হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও ফার্মেসী কাউন্সিল অব বাংলাদেশ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ও আশাইউবি ফার্মেসী বিভাগের এডভাইজর ড. সোহেল রানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. বিলকিস বেগম, স্টেট ইউনিভার্সিটির অব বাংলাদেশের ফার্মেসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. কোহিনূর বেগম, আশাইউবি’র রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) জিনাত তারা এবং ইউনিমেড-ইউনিহেলথ-এর মার্কেটিং ডিরেক্টর সাফায়েত মাহমুদ। এছাড়া এতে স্পনসর হিসেবে ভূমিকা পালন করেন ইস্পাহানি টি লিমিটেড।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেন,‘এলামনাইদের এই মিলনমেলা শুধু উৎসব নয়, এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও বন্ধনের সেতুবন্ধন। ফার্মেসী একটি মানবসেবামূলক পেশা, যেখানে শিক্ষা ও দক্ষতার সমন্বয় জরুরি। এ ধরনের আয়োজনে প্রাক্তনরা যেমন স্মৃতি রোমন্থন করতে পারেন, তেমনি বর্তমান প্রজন্মও অনুপ্রাণিত হয়।
রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) জিনাত তারা বলেন,‘এলামনাইরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব। তাঁরা সমাজে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করেন। আজকের এই পুনর্মিলনী বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে আন্তরিকতার বন্ধন আরও দৃঢ় করেছে।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান সোফিয়া হোসেন বলেন,“ফার্মেসী বিভাগের সাফল্যের পেছনে আমাদের প্রাক্তনদের অবদান অনস্বীকার্য। তাঁদের অভিজ্ঞতা ও প্রেরণার গল্প বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষণীয়। আজকের এই দিনটি আমাদের পরিবারের মতো সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রেখে তারা বলেন,“আশাইউবি আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আজকের এই মিলনমেলায় এসে যেন সেই ছাত্রজীবনের দিনগুলো আবার ফিরে পেলাম। সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা হওয়া এবং শিক্ষকদের মুখোমুখি হওয়ার মুহূর্তগুলো আমাদের হৃদয়ে চিরদিন অম্লান থাকবে।
আরও পড়ুন: পবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো ‘গবেষণা উৎসব পালিত
অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাঁদের স্মৃতিচারণে বলেন, ক্যাফেটেরিয়ার আড্ডা, একাডেমিক চ্যালেঞ্জ, শিক্ষকদের স্নেহ এবং ক্লাসরুমের অভিজ্ঞতা তাঁদের জীবনের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। কেউ কেউ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আজকের এই পুনর্মিলনী তাঁদের কাছে শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং জীবনযাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ পুনরুদ্ধার। আয়োজনটি অংশগ্রহণকারী সকলের মধ্যে এক বন্ধন, এক পরিচিতি এবং আশাইউবি ফার্মেসী পরিবারের প্রতি গভীর ভালোবাসার অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।
এসডি/