বাকৃবি উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৩ পিএম, ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম ফজলুল হক ভূঁইয়ার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা ছয় দফা দাবি পূরণের জন্য প্রশাসনকে কঠোর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি এ এইচ এম হিমেল এই ঘোষণা দেন। এর আগে সকাল ৯টার দিকে হল ছাড়ার নির্দেশ অমান্য করে শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে কেআর মার্কেটে সমবেত হয়।
আরও পড়ুন: চবি ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ, যৌথবাহিনীর কড়া টহল
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. হল ছাড়ার নির্দেশ প্রত্যাহার
২. হলগুলোতে সব সুবিধা নিশ্চিত করা
৩. প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ
৪. উপাচার্যের প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা
৫. হামলাকারী শিক্ষক ও বহিরাগতদের শাস্তি
৬. দ্রুত কম্বাইন্ড ডিগ্রি প্রদান
হিমেল বলেন, “আমাদের দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় লকডাউন বা ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে উত্তেজনা, শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি ও আলটিমেটাম
রবিবার শিক্ষার্থীরা প্রায় ২০০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখলে বহিরাগতদের হামলায় সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে রাত সাড়ে ৯টায় জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের সকাল ৯টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম বলেন, “অনেকে ক্যাম্পাস ছেড়েছে, তবে অনেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই তারা হল ত্যাগ করুক। হলে আর কেউ না থাকলে দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের হাতে চলে যাবে।”
আরও পড়ুন: অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে অঝরে কাঁদলেন চবি উপ-উপাচার্য
বর্তমানে বাকৃবির ৯টি ছেলেদের হল ও ৫টি মেয়েদের হলে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।
এএস