নারী-শিশুর আর্তনাদে কাঁপছে গাজা, ইসরায়েলি হামলায় আরও ৯৫ নিহত
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:১৯ এএম, ১লা জুলাই ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। হামাসকে উৎখাত এবং জিম্মিদের উদ্ধারের নামে ইসরায়েল যে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, তা এখন নিছক হত্যাযজ্ঞে পরিণত হয়েছে। নির্বিচার এই হামলায় প্রতিদিনই বাড়ছে লাশের মিছিল, কোথাও নেই নিরাপত্তা।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় আটককৃত বাংলাদেশিরা আইএসের সঙ্গে যুক্ত: পুলিশ মহাপরিদর্শক
গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। শুধু উত্তর গাজার সমুদ্র তীরবর্তী আল-বাকা নামক এক ক্যাফেতে হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৯ জন, যেখানে একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারী, শিশু ও একজন সাংবাদিক।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে আরও জানায়, আল-বাকা নামে উত্তর গাজার ওই সমুদ্র তীরবর্তী ক্যাফেটিতে একটি জন্মদিন উদযাপন করতে নারী ও শিশুসহ অনেকেই জড়ো হয়েছিলেন। কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা ছাড়াই সেখানে যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। নিহতদের মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
এছাড়া গাজা শহরের ইয়াফা স্কুলে আশ্রয় নেওয়া কয়েকশ বাস্তুচ্যুত মানুষের ওপর হামলা চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শী হামাদা আবু জারাদে জানান, হামলার মাত্র পাঁচ মিনিট আগে তাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল চত্বরে চালানো হয় আরেকটি হামলা, যেখানে কয়েক হাজার উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই হাসপাতালে আগেও কমপক্ষে ১০ বার হামলা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ত্রাণের আশায় দাঁড়ানো মানুষকে লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসে বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’-এর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে খাবারের জন্য অপেক্ষারত মানুষের ওপর চালানো হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন এবং ৫০ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরাইলের ওপর চাপ দিতে যাচ্ছে
ল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। প্রায় ২০ মাস ধরে চলা এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আন্তর্জাতিক মহলের যুদ্ধবিরতির আহ্বান বারবার উপেক্ষা করে ইসরায়েল এই হামলা অব্যাহত রেখেছে।
এসডি/