পুতিন বরখাস্ত করার পর আত্মহত্যা করলেন সাবেক রুশ মন্ত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০:০৯ অপরাহ্ন, ৭ই জুলাই ২০২৫

রাশিয়ার সাবেক পরিবহনমন্ত্রী রোমান স্তারোভইতকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বরখাস্তের কয়েক ঘণ্টা পর খবর রোমান স্তারোভইত আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (০৭ জুলাই) সকালের দিকে রোমান স্তারোভোয়োৎকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি দিয়ে একটি প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্রি জারি করেন পুতিন। ঠিক কী কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে— সে সম্পর্কে ডিক্রিতে কোনো উল্লেখ ছিলো না।
ডিক্রি জারি করার কয়েক ঘণ্টা পর উপ পরিবহনমন্ত্রী আন্দ্রিয়ে সের্গেয়েভিচ নিকিতিনকে ভারপ্রাপ্ত পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন পুতিন।
আরও পড়ুন: ইরানের ‘কঠিন’ হুঁশিয়ারি, ট্রাম্পের কাছে ছুটে গেলেন নেতানিয়াহু!
এদিকে আন্দ্রিয়ে সের্গেয়েভিচ নিকিতিন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হওয়ার কিছু সময় পর মস্কোর উপশহর এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় সাবেক পরিবহনমন্ত্রী রোমান স্তারোভয়োতের গুলিবিদ্ধ মরদেহ। প্রাথমিক তদন্ত শেষে মস্কো পুলিশের এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে যেসব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে— তার ভিত্তিতে বলা যায় যে স্তারোভয়োৎ আত্মহত্যা করেছেন।
পরে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফএসবিও এক বিবৃতিতে একই তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আজ ওদিনৎসোভো এলাকায় একটি গাড়ি থেকে সাবেক পরিবহনমন্ত্রী রোমান স্তারোভয়োতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার দেহে বুলেটের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।”
৫৩ বছর বয়সী রোমান স্তারোভয়োৎ ২০২৪ সালের মে মাসে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় পরিবহনমন্ত্রী হন। এর আগ পর্যন্ত দেশটির ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী প্রদেশ ক্রুস্কের গভর্নর ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ
এদিকে রোমান স্তারোভয়োতের মৃত্যুর পর রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমগুলোতে এই নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি শুরু হয়। অনেকেই ধারণা করতে থাকেন যে ক্রুস্কের গভর্নর থাকার সময় দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি, এ কারণেই পুতিন তার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন এবং তার জেরেই স্তারোভয়ৎকে পদচ্যুত করেছেন তিনি।
এই গুঞ্জন সত্য কি না— জানতে সাংবাদিকরা ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। পেসকভ বলেছেন, “তার পদচ্যুতির সঙ্গে প্রেসিডেন্টের আস্থা হারানোর কোনো সম্পর্ক নেই।” সূত্র: এএফপি।
এমএল/