‘সরকার বরাবরের মতোই নীরব', মিটফোর্ডের ঘটনায় বাঁধনের ক্ষোভ


Janobani

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:৫৯ অপরাহ্ন, ১২ই জুলাই ২০২৫


‘সরকার বরাবরের মতোই নীরব', মিটফোর্ডের ঘটনায় বাঁধনের ক্ষোভ
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিটফোর্ডের বুকে ঘটে গেল এক বীভৎস হত্যাকাণ্ড। বুধবার (০৯ জুলাই) স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে প্রকাশ্যে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে। চারপাশে ছিল মানুষ, ছিল জীবন। ছিল না শুধু প্রতিরোধ। হৃদয়বিদারক সেই দৃশ্যের ভিডিও যখন ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, তখনই যেন থমকে যায় গোটা জাতি। মানুষের হৃদয়ে জন্ম নেয় ভয়, ক্ষোভ আর হতাশা। মুখর হয় সাধারণ জনতা, আর নীরবতা ভাঙেন তারকারাও। এবার সেই প্রতিবাদের মিছিলে সবচেয়ে তীব্র কণ্ঠটি শোনা গেল অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের কণ্ঠে।


শুক্রবার (১১ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের হ্যান্ডেলে এ বিষয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এটা এক ধরনের মর্মান্তিক ছবি। কারো হত্যা হতে দেখা, যেখানে বাকি সবাই দাঁড়িয়ে দেখছে। কিছুই করছে না। এটা কীভাবে সম্ভব? কী ধরনের দেশে আমরা বেঁচে আছি? মানুষ দাঁড়িয়ে দেখল। কিন্তু কেউ এগিয়ে গেল না। কতটা ভয়াবহ?’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি আর কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এটা কি আর কেউ অনুভব করছেন? মনে হচ্ছে না আমরা যেন নরকে বাস করছি? আর সরকার? সবসময়কার মতোই নিশ্চুপ। তারা কোথায়? কথা বলে না কেন? কিছু করে না কেন?’


আরও পড়ুন: তারা মনে করে আমি খারাপ মেয়ে, এটা ডিজার্ভ করি: বাঁধন


ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে বাঁধন আরও লিখেছেন, আমি কি এই দেশে নিরাপদ? আমি কি সত্যিই যা মনে করি তা বলতে পারি? না কি সত্যি কথা বলার অপরাধে আমিই হব পরবর্তী টার্গেট?’


বুধবার (০৯ জুলাই) বিকেলে একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামে এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সেই ঘটনার একটি ভিডিও শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।


জানা যায়, চাঁদা না পেয়ে প্রকাশ্য এই হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এর পেছনে বিএনপির যুব সংগঠন যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মী রয়েছেন। ইতিমধ্যে যুবদল অভিযুক্তদের বহিষ্কার করেছে। পুলিশ প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যার ঘটনার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে অধীনে করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।


এমএল/