তারা মনে করে আমি খারাপ মেয়ে, এটা ডিজার্ভ করি: বাঁধন
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪০ অপরাহ্ন, ৬ই জুলাই ২০২৫

ছোট পর্দার অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে শুরু রাজপথেও বেশ সরব ছিলেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। সবসময় সাধারণ নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরেও দেশের সমসাময়িক বিভিন্ন ঘটনায় নিজের অবস্থান তুলে ধরে আলোচনায় থেকেছেন এই অভিনেত্রী।
যদিও বিভিন্ন সময় বাঁধন জানিয়েছেন, জুলাইয়ের আন্দোলনের পর কিছু ঘটনা তাকে বেশ হতাশ করেছে। কারণ তিনি দেশের কাছে আরও ভালো কিছু প্রত্যাশা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: লুকিয়ে রাখা বাচ্চা পৌঁছে দিলে ২০ হাজার ডলার দিব: তানজিন তিশা
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারেও এমনই ভাবনার কথা জানালেন এই অভিনেত্রী। তিনি মনে করেন, নারীদের প্রতি সমাজ-রাষ্ট্রের এক ধরণের অবহেলা আছে।
এই অভিনেত্রী বলেন, অনলাইনে মেয়েদের ভাবে হ্যারেজ করা হচ্ছে। আমিও যার শিকার। তারা মনে করছে, আমি এটা ডিজার্ভ করি। কারণ, আমি একটা খারাপ মেয়ে....! কেন খারাপ মেয়ে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বাঁধন বলেন, ‘আমার ঠোঁটকাটা। সময়ের প্রয়োজনে দেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলাম। বাজে ব্যাপার হচ্ছে, তারা আমাকে কোনো দলে ফেলতে পারছে না। যে কারণে সবকিছুতেই সমস্যা দেখছে।
বাঁধন বলেন, জুলাইয়ের গণঅভুত্থ্যানে যখন গিয়েছি, তখন একটা আশার আলো দেখেছি। যারা টিভিতে সংবাদ দেখেছে, তারা আসলে বুঝতে পারবে না বাস্তবের অভিজ্ঞতাটা কেমন ছিল। ভেবেছিলাম, এবার একটা পরিবর্তন আসবে। তবে আমরা এতটাই দুর্নীতিগ্রস্থ একটা জাতি, যিনি পালিয়ে গেছেন, তার রেখে যাওয়া সেই করাপ্টেড সিস্টেম থেকে বের হতে পারিনি।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে সন্তান দত্তক নেয়া প্রসঙ্গে যা জানালেন জয়া
এদিকে, সম্প্রতি জুলাইয়ের স্মৃতিচারণ করে এক স্ট্যাটাসে বাঁধন আরও বলেন, যারা বলে জুলাই বিপ্লব ভুল ছিল — সত্যি বলতে, তাদের জন্য আমার দুঃখ হয়। ওই সময় ওই বিপ্লব একদম প্রয়োজনীয় ছিল। মানুষ যে পরিমাণ অবিচার, অন্যায় এবং দমন-পীড়নের মুখোমুখি হচ্ছিল, তা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সরকার তো একদিনে ফ্যাসিস্ট হয়ে যায়নি — ধাপে ধাপে মানুষের অধিকার আর কণ্ঠস্বর কেড়ে নিতে নিতে তারা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছিল। তখন আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না।
৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, যারা সেদিন, ৫ আগস্ট রাস্তায় ছিল না, তারা কোনও দিন বুঝতে পারবে না সেই আনন্দ কতটা বিশুদ্ধ ছিল— যখন সে ভীতুর মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই আনন্দ ছিল একদম বাস্তব, এবং আমি তা নিজের প্রতিটি হৃদস্পন্দনে অনুভব করেছিলাম। ওইরকম স্বাধীনতা আর শক্তি রাস্তায় দাঁড়িয়ে একসঙ্গে অনুভব করার অভিজ্ঞতা জীবনে একবারই আসে।
সবশেষ বাঁধন লিখেছেন, হ্যাঁ, বিপ্লবের পরে অনেক কিছু ঘটেছে, এবং সবকিছু সুখকর হয়নি। কিন্তু এক জিনিস স্পষ্ট: জুলাই বিপ্লব সঠিক সময়ে, সঠিক কাজ ছিল।
এমএল/