প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:২৯ অপরাহ্ন, ১৫ই জুলাই ২০২৫


প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
সংগৃহীত ছবি।

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।


মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তির থেকে এ তথ্য জানানো হয়।


আরও পড়ুন: যুবদের জনসম্পদে রূপান্তরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গঠিত সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ


এতে বলা হয়, সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


বৈঠকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সম্পর্কে এবং কোন স্কুলগুলো ভালো করছে সে ব্যাপারে মূল্যায়ন জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। 


পরেউপদেষ্টা বিধান রঞ্জন জানান, “শিক্ষার মানোন্নয়নই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু লক্ষ্য অনুযায়ী অগ্রগতি হয়নি। আমরা বিদ্যালয়গুলোর র‌্যাংকিং করছি এবং পিছিয়ে থাকা স্কুলগুলোর জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিচ্ছি।”


তিনি জানান, মূল্যায়নে দেখা গেছে যেসব স্কুলের মান ভালো সেখানে প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা ও তার সঙ্গে অন্য সহকর্মীদের সম্পর্ক-ব্যবহার বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। দেশের ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ বর্তমানে শূন্য রয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান বলেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন তিনি। 



এ সময় প্রধান শিক্ষক পদে পদায়নের পাশাপাশি নতুন নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কীভাবে যোগ্যদের নিয়ে আসা যায় সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। কয়েকটা ক্যাটাগরি করে দিতে হবে। যারা বহু বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন, অভিজ্ঞ তারা প্রাধান্য পাবেন। এর পাশাপাশি তরুণদেরও প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সুযোগ দিতে হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে।

 

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে সমন্বয় করে অতিদ্রুত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ দেন ড. ইউনূস। পাশাপাশি শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রেও নীতিমালায় পরিবর্তন আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অনেক সময় এক উপজেলায় নিয়োগ পেয়ে পরে অন্য উপজেলায়, শহরের কাছে কোনো স্কুলে শিক্ষকরা বদলির জন্য চেষ্টা করেন, তারা সুপারিশ-তদবির নিয়ে বিভিন্ন মহলে ঘোরেন। এক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা ও প্রক্রিয়া থাকতে হবে। কেবল ওই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তিনি বদলি হতে পারবেন।


স্কুলগুলোতে মেয়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, স্কুলের অবকাঠামো নারীবান্ধব কি না এসকল বিষয়েও জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। 


আরও পড়ুন: ১৫ জুলাই: কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা, রণক্ষেত্র ঢাবি


নারীবান্ধব অবকাঠামো ও শিক্ষায় মেয়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন ড. ইউনূস। ভবন নির্মাণের সময় অন্তত একজন নারী স্থপতিকে কমিটিতে রাখার নির্দেশনা দেন তিনি। পাশাপাশি, দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধাপে ধাপে ইন্টারনেট সংযোগ এবং মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ স্থাপনেরও তাগিদ দেন।


এসডি/