তিস্তার গতি-প্রকৃতি উজানের উপর নির্ভরশীল: সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:২৮ অপরাহ্ন, ১৫ই জুলাই ২০২৫

তিস্তা পাড়ের মানুষের গণশুনানির মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধানের ব্যবস্থা করে দেওয়া। আমি ঢাকায় থেকে দুই মাসের চেষ্টায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বরাদ্দ পেয়েছি। সেসময়ে বাজেট প্রণয়নের কাজ ছিলনা, আপনাদের সমস্যার কথাগুলো বলার পরে পুরো কাজটার জন্য বরাদ্দ পেয়েছি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন করতে হবে: ডিসি নুসরাত সুলতানা
আপনারাই বাজেট করে দিয়েছিলেন ৪৫ কিলোমিটার কাজ করার জন্য আমাদেরকে সেই টাকা দিয়েছেন। অর্ধেক গতবছর দিয়েছি। আমরা উনিশ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার কাজ করে ফেলেছি,আরও পঁচিশ কিলোমিটার কাজ আমরা করব।
তিনি বলেন,আজকে যদি বাঁধের কাজটা না করতাম হয়ত বিদ্যালয়টি নদীতেই ভেঙে যেতো,এটা মানুষকে জানাতে হবে,সাহস লাগবে সরকারের কাছে রাখা দাবিটি যে বাস্তবায়ন হয়।এজন্য আমি নিজেই কাজটি দেখতে এসেছি, দ্বিতীয় হচ্ছে স্থানীয় জনগণ নদীর স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান।যদি স্থায়ী সমাধান কাজ করতে যান তাহলে লাগবে ৩ থেকে ৫ বছর সময় লাগবে। আপাতত বিপদ কাঠার জন্য এই কাজ টুকু করতেছি এবং সেখানে প্রত্যেকটি কাজে স্থানীয় মানুষকে সম্পৃক্ত করেছি,যাতে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠতেই পারে সেগুলো যেন স্থানীয় মানুষ নিষ্পত্তি করতে পারে এবং কাজগুলো যেন ভালোভাবে হয়।দুটি জায়গায় গিয়েছি তারা বলছেন কাজগুলো ঠিকভাবে হচ্ছে। এবার হল তিস্তা মহাপরিকল্পনা,তিস্তা নদীর গতি প্রকৃতি অনেকটাই আমাদের হাতে নির্ভর করেনা,নির্ভর করে উজানের দেশে।
উপদেষ্টা বলেন,সরকারিভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনার জন্য চুক্তির ব্যপারে কাজ করা হয়েছিল ১১ সাল থেকে,সেই স্বাক্ষর করানো যায়নি সেটা আপনারা জানেন,তবে সেই প্রক্রিয়া সেই এখনো চলমান আছে।পাশাপাশি তিস্তা যেহেতু আমাদের নদী সেহেতু ভাটির দেশের জনগনের অধিকার আছে।সেটি করে সুরক্ষিত করতে পারি সে জন্য ২০১৬ সালে চীন সরকার সঙ্গে একটা স্মারক হয়েছিল।আমরা সেসময়ে মহাপরিকল্পনার দাবি জানিয়েছিলাম,আমরা সেই পরিকল্পনা নিয়ে চীন সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি।
তিনি আরও বলেন,তিস্তা পাড়ে পাঁচটা গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে,যাতে এটা যেন সরকারি পরিকল্পনা নাহয়,এটা যেন জন পরিকল্পনা হয়।বাস্তবায়নের জন্য যে সংস্থাটি কাজ করবে,তারা একটা ডিজাইন দিবে। ডিজাইনা পেতে অক্টোবর এসে যাবে। তারপর জানা যাবে কি পরিমাণ টাকা লাগবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলায় চব্বিশটি প্যাকেজে ছত্রিশ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান তিস্তা নদীর উত্তর তীর ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং ও তীর রক্ষা কাজ পরিদর্শনকালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।
সফরের প্রথমদিন মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বেলা বারোটায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তিস্তা নদীর উত্তর তীরে ভাঙনরোধ ও তীর রক্ষা কাজ পরিদর্শনকালে সফরসঙ্গী ছিলেন উপদেষ্টার একান্ত সচিব আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান,পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম,পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার দীপংকর বর।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযান
উত্তরাঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের নির্বাহী প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবর রহমান,কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা,কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুর রহমান,
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ড.আতিক মুজাহিদ,কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান,
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশাদুল হক,রাজারহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মো. তসলিম উদ্দিনসহ অন্যন্যারা।
এসডি/