ক্ষুধার্ত মানুষের রক্তাক্ত প্রহর: গাজায় ইসরায়েলি গুলিতে নিহত ১১৫


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১২:০১ অপরাহ্ন, ২১শে জুলাই ২০২৫


ক্ষুধার্ত মানুষের রক্তাক্ত প্রহর: গাজায় ইসরায়েলি গুলিতে নিহত ১১৫
সংগৃহীত ছবি।

গাজা উপত্যকায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৮৫ জনকে হত্যা করেছে। 


রবিবার (২০ জুলাই) দিনভর এই হামলার ঘটনা ঘটে উত্তর গাজার জিকিম ক্রসিং, রাফাহ এবং খান ইউনিস এলাকায়।


গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, একদিনে ইসরায়েলি হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ১১৫ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৬৯ জন জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ট্রাকের জন্য জিকিম সীমান্তে অপেক্ষা করছিলেন। এই হামলাকে এখন পর্যন্ত খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করছে স্থানীয় প্রশাসন।


ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ‘সতর্কতামূলক গুলি’ ছুঁড়েছিল এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিহতের সংখ্যা অতিরঞ্জিত করছে। তাদের ভাষ্য, ত্রাণবাহী গাড়িগুলোকেই লক্ষ্য করা হয়নি।


তবে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) জানায়, খাদ্যবাহী ২৫টি ট্রাক প্রবেশের পর বিপুল সংখ্যক ক্ষুধার্ত মানুষ ভিড় জমালে গুলির ঘটনা ঘটে।


 সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়: “ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ বেসামরিক জনগণের ওপর সহিংসতা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।”


এছাড়া দক্ষিণ গাজার অন্য এক ঘটনায় আরও ৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।


রবিবার দিনভর গাজা জুড়ে বিমান হামলা ও গুলিতে অন্তত ৯০ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।


হামাসের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন,‘গাজায় ইসরায়েলি হামলা এবং চরম খাদ্য সংকট সাধারণ ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি করছে, যা কাতারে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা প্রক্রিয়াকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’


এই হামলা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান জানিয়ে বেসামরিক জনগণের সুরক্ষার আহ্বান জানাচ্ছে।


এসডি/