গাজা যেন মৃত্যুপুরী, ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১০০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১:২১ পিএম, ১৪ই আগস্ট ২০২৫

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে একদিনেই নিহত হয়েছেন অন্তত ১০০ জন ফিলিস্তিনি। শুধু গাজা সিটিতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৬১ জন। এছাড়া ত্রাণ নিতে গিয়ে আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
আল জাজিরা জানায়, বুধবার ভোর থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করে। চিকিৎসা সূত্র বলছে, শুধুমাত্র গাজা সিটির উত্তর অংশেই বিমান হামলায় মারা গেছেন ৬১ জন।
গাজা সিটির উত্তরে ত্রাণ বিতরণ নিশ্চিত করতে চেষ্টা চালানো লোকজনের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলায় বুধবার অন্তত ১২ জন নিহত হন।
দক্ষিণ গাজার নাসের হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, রাফাহের উত্তরে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি গুলিতে অন্তত ১৬ জন নিহত হন। গাজার জরুরি ও অ্যাম্বুলেন্স সেবার হিসাবে, উত্তরে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর গুলিতে আরও ১৪ জন নিহত এবং ১১৩ জন আহত হন। সব মিলিয়ে খাদ্যের সন্ধানে থাকা অন্তত ৩৭ জন এদিন নিহত হন।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বুধবার বলেছেন, গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা ‘ঔষধহত্যা’-এর সমতুল্য। তারা ইসরায়েলকে ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণ করে এবং ছিটমহলের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, প্যারামেডিক এবং হাসপাতালগুলিকে অনাহারে রাখার অভিযোগ এনেছে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, একটি চলমান গণহত্যার সাক্ষী থাকার পাশাপাশি, আমরা একটি ‘ঔষধহত্যা’রও সাক্ষী হচ্ছি, যা গাজায় ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা পরিস্থিতির একটি ভয়াবহ উপাদান, যা গণহত্যার একটি কাজ।
স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ত্ল্যালেং মোফোকেং এবং ১৯৬৭ সাল থেকে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজ বলেন, মানুষ এবং জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ হিসেবে, গাজায় আমাদের চোখের সামনে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে আমরা চুপ থাকতে পারি না।
এসডি/