১১৭ দেশে এস আলম পরিবারের ২ লাখ কোটি টাকার সাম্রাজ্য


Janobani

বশির হোসেন খান

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ১৪ই আগস্ট ২০২৫


১১৭ দেশে এস আলম পরিবারের ২ লাখ কোটি টাকার সাম্রাজ্য
ছবি: পত্রিকা থেকে নেওয়া।

বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় অর্থপাচার কেলেঙ্কারি উন্মোচিত হয়েছে চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ ও এর চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে তারা অন্তত ১১৭টি দেশে ছড়িয়ে থাকা ৪৭০টির বেশি শ্যাডো বা শেল কোম্পানি এবং বিভিন্ন বিদেশি নাগরিকত্ব কর্মসূচি ব্যবহার করে প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা) পাচার করেছেন।


এই বিপুল অর্থ বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় চার শতাংশ যা একটি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের অর্থনীতির জন্য ভয়ংকর আঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


অভিযানের বিস্তার: ৮ দেশ থেকে বেড়ে ১১৭ দেশ: প্রথম দফার অনুসন্ধানে তদন্তকারীরা দেখতে পান, এস আলম পরিবারের বিদেশি সম্পদ মূলত অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ডে কেন্দ্রীভূত। কিন্তু দ্বিতীয় দফার তল্লাশিতে চিত্র বদলে যায়। নতুন তালিকায় উঠে আসে সাইপ্রাস, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, ইতালি, তুরস্ক, জার্সি, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, আইল অব ম্যান, কানাডা সহ মোট ১১৭ দেশ।


তদন্তে অংশ নেয় বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ইন্টারপোল, এবং করস্বর্গে আর্থিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ওইসিডি’র গ্লোবাল ফোরাম অন ট্রান্সপারেন্সি। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য আদানপ্রদানে এফএটিএফ (ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স) এর সহযোগিতাও নেওয়া হয়।


শ্যাডো কোম্পানির নেটওয়ার্ক: আড়াল থেকে সাম্রাজ্য গড়া: প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, ৪৭০টির বেশি শেল কোম্পানি মূলত করস্বর্গ বা ‘ট্যাক্স হেভেন’ হিসেবে পরিচিত অঞ্চলে নিবন্ধিত। এসব কোম্পানির সাধারণ বৈশিষ্ট্য—মূলধন শূন্য বা খুব কম। প্রকৃত ব্যবসা কার্যক্রম নেই। পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার হিসেবে পরিবারের সদস্য বা বিদেশি প্রক্সি ব্যবহার। অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে একাধিক ‘লেয়ারিং’ পদ্ধতি ব্যবহার।


লেয়ারিং হলো এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে অবৈধ অর্থ এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে ঘুরিয়ে জটিল লেনদেন তৈরি করা হয়, যাতে উৎস শনাক্ত করা কঠিন হয়।


জার্সিতে ট্রাস্ট ও হোটেল ব্যবসা: জার্সি দ্বীপে স্থানীয় ট্রাস্ট কোম্পানির মাধ্যমে মাসুদ ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন গড়ে তোলেন ৬টি ট্রাস্ট : ম্যাপল, ক্যাপ্রি, সারে, শেন্টন, মারিনা ও মিশন। এসব ট্রাস্ট মালিক হয় মালয়েশিয়ার রেনেসাঁ হোটেল ও ফোর পয়েন্টস বাই শেরাটন এর।রমোট বাজারমূল্য প্রায় ২১ কোটি মার্কিন ডলার (২,২০৩ কোটি টাকা)।

ক্রয়ের অর্থ আসে সিঙ্গাপুর ও সাইপ্রাসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে: হোটেলগুলোর আয় সরাসরি করস্বর্গে জমা হয়, যাতে বাংলাদেশের কর ব্যবস্থার আওতায় না পড়ে।  আইল অব ম্যানের রাজধানী ডগলাসে ২০২০ সালে কেনা হয় ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি ভিলা।


প্রথমে মেজ ছেলে আশরাফুল আলম এর নামে নিবন্ধন। পরে উপহার হিসেবে মায়ের নামে হস্তান্তর করা হয়। বাড়িতে আধুনিক জিম, সুইমিং পুল, প্রাইভেট থিয়েটার ও সমুদ্রদৃশ্যের জন্য গ্লাস ওয়াল রয়েছে। তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, এটি ইউরোপে স্থায়ী বসবাসের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।


সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিলাসবহুল সম্পত্তি: জামাতা বেলাল আহমেদএর নামে দুবাই ও শারজাহতে অন্তত ৬টি বিলাসবহুল ভিলা রয়েছে। দাম প্রায় ৩.৫ লাখ থেকে ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। দুটি প্রিমিয়াম প্লট রয়েছে:যা  প্রায় ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৫৩ কোটি টাকা)  মূল্যের সম্পত্তি।  ইসলামী ব্যাংকের প্রক্সি অ্যাকাউন্ট ও  দুবাইয়ের স্থানীয় ব্যাংক  ও  ডেভেলপার কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে।


সাইপ্রাসে নাগরিকত্ব ও বিনিয়োগ: ২০০৯ সালে সপরিবারে সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব নেন মাসুদ। তিনি  আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন ২.৫ মিলিয়ন ডলার।  আর অনুদান হিসেবে ২.৫ মিলিয়ন ডলার সরকারি তহবিলে দেন। সম্পদ হিসেবে আছে তার  লিমাসলে দোতলা ভবন।  কোম্পানি হিসাবে আছে এক্লেয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এর নামে ৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।রদ এই বিনিয়োগ ও অনুদান দিয়ে সাইপ্রাসের গোল্ডেন ভিসা প্রোগ্রাম ব্যবহার করে তারা দ্রুত নাগরিকত্ব লাভ করেন।

সিঙ্গাপুরে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও হোটেল কেনা: সিঙ্গাপুরে পরিবারের নামে রয়েছে ২১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ১৭টি বীমা পলিসি, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের তথ্য। ২০০৯ সালে খোলা ক্যানালি লজিস্টিকস প্রাইভেট লিমিটেডে র নাম বদলে হয় ভেঞ্চুরা ইন্টারন্যাশনাল। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কেনা হয়। এর মধ্যে  রেনেসাঁ কুয়ালালামপুর হোটেল ১,৭৮৮ কোটি টাকা। গ্র্যান্ড চ্যান্সেলর হোটেল  ১৯,৫০০ কোটি টাকা।


সেন্ট্রিয়াম স্কয়ার;এর ২৭ হাজার বর্গফুট, বাণিজ্যিক স্পেস  ১,৬০০ কোটি টাকার। 

২০২২ সালে মাসুদ ও ফারজানা সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন।

তুরস্ক ও ইতালিতে ব্যাংকিং কার্যক্রম: তুরস্কের জিরাত ব্যাংক ও ভাকিফলার ব্যাংকে শহীদুল আলম ও ওসমান গনির নামে ১০টি প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্ট রয়েছে।


ইতালির পোস্তে ইতালিয়ানে এসপিএতে মাসুদ ও বেলাল আহমেদের নামে ২টি সক্রিয় অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তুরস্ককে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের সংযোগ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর করা হয়।

অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডায় নাগরিকত্ব: জামাতা বেলাল আহমেদ মাত্র ১ লাখ মার্কিন ডলারে অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার নাগরিকত্ব পান, যা এসেছিল কানাডার মিসিসাগা শহর থেকে অনলাইন ট্রান্সফারে। এই নাগরিকত্বের মাধ্যমে তিনি কর সুবিধা ও ভিসা ফ্রি ভ্রমণ সুবিধা পান।


ব্যাংক দখল কৌশল: এস আলম গ্রুপের উত্থানের অন্যতম বিতর্কিত অধ্যায় হলো ব্যাংক দখল করে নেওয়া।  ইসলামী ব্যাংক: ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক: ২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রক্সি কোম্পানির মাধ্যমে শেয়ার কিনে নিয়ন্ত্রণে নেয়। দখলদারির পর এসব ব্যাংকের আমানত ব্যবহার করে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচারের সুযোগ তৈরি হয়।


দুদকের মামলা ও তদন্তের অগ্রগতি: ২০২৪ সালের আগস্টে দুদক নি¤েœাক্ত মামলা করে।  এর মধ্যে ১,৫৩৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলা (মাসুদ ও ফারজানার নামে )


ইসলামী ব্যাংক থেকে ২,২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা (মারুফ ও আশরাফুলের নামে মামলা)।নবিদেশি রাষ্ট্র থেকে ব্যাংক নথি আনতে ইতিমধ্যেই এমএলএআর (মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট) পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব: বিশ্লেষকরা বলছেন, ২ লাখ কোটি টাকার পাচার হয়েছে।নবৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি করেছে। ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট বাড়িয়েছে। আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলারের ঘাটতি তীব্র করেছে। স্থানীয় বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।


 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এ ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশের আর্থিক খাত কতটা অরক্ষিত রয়েছে।এফএটিএফ এ নিয়ে বাংলাদেশকে ‘গ্রে লিস্ট’-এ তোলার বিষয়ে আলোচনায় আছে।


ইন্টারপোল জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে এস আলম পরিবারের বিদেশি সম্পদের পরিধি ও লেনদেনের জটিলতা প্রমাণ করে, আধুনিক অর্থপাচার কতটা পরিশীলিত হয়ে উঠেছে।


 এখন মূল প্রশ্ন বাংলাদেশ কি এই বিপুল অর্থ ফেরত আনতে পারবে, নাকি এটি ইতিহাসের আরেকটি হারানো অর্থকা- হয়ে থাকবে।


এ ব্যাপারে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ মুঠো ফোন কল তিনি রিসিভ করেননি। এমকি ক্ষুর্দে বার্তা পাঠিয়ে উত্তর মেলেনি। 


কে এই এস আলম: সাইফুল আলমের জন্ম ১৯৬০ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়। তার বাবা মোজাহেরুল আনোয়ার ও মা চেমন আরা বেগম। সাত ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে এস আলম চতুর্থ। তাঁর মামা শিল্পপতি আখতারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী তার মামাতো ভাই। মামার সহযোগিতা নিয়ে ১৯৮৫ সালে কর্ণফুলী নদীর তীরে তিনি ব্যবসা শুরু করেন।


পটিয়ার স্থানীয় লোকজন জানান, টিনের এজেন্ট হিসেবে যাত্রা করে পরিবহন ব্যবসা শুরু করেন তিনি। ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠা করেন সিমেন্ট, ভেজিটেবল অয়েল, স্টিল, কুলার রিলিফ, চিনি পরিশোধনাগার কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ আরও অনেক ব্যবসা। ২০০৪ সালে সিকদার গ্রুপের কাছ থেকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ যায় এস আলম গ্রুপের কাছে। তখন থেকে এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম নিজেই, পাশাপাশি আভিভা ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৬-১৭ সালের মধ্যে একে একে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও কমার্স ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেন। পাশাপাশি ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকও তার পরিবারের নিয়ন্ত্রণে যায়। এ সুযোগে ৯ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা বের করে নেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গড়ে তোলেন সম্পদ। ব্যাংক দখল ও ঋণ নিতে ব্যবহার করেন নিজের পরিবারের সদস্য ও তাদের ছেলেমেয়ে ও জামাইদের নাম ব্যবহার করা হয়। ফলে পুরো পরিবারকে অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে। যদিও এস আলমের ভাইদের মধ্যে আবদুস সামাদ ওরফে লাবু ছাড়া অন্যরা ব্যবসায় তেমন সক্রিয় নন। আবদুস সামাদ লাবু ছিলেন আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান। সরকার পরিবর্তনের পর সব ব্যাংক এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হয়েছে, গ্রাহকদের টাকা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এসব ব্যাংকের প্রকৃত ক্ষত ও টাকার গন্তব্য বের করতে কাজ করছে তিন বৈশ্বিক হিসাবরক্ষণ ফার্ম। সেই ফার্মগুলো হলো ইওয়াই, ডেলয়েট ও কেপিএমজি।


অন্যদিকে নিজেকে এখন সিঙ্গাপুরের নাগরিক দাবি করেছেন এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম। বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে ‘ভীতি প্রদর্শনমূলক ব্যবস্থা’ নিচ্ছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ চুক্তির আলোকে তার সুরক্ষা প্রাপ্য বলে মনে করেন সাইফুল আলম। এ বিষয়ে সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষে আইনি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে। সিঙ্গাপুরের আইনে কেউ নাগরিক হলে অন্য দেশের নাগরিকত্ব ছাড়তে হয়। ফলে এস আলমও একই পথে হেঁটেছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংক লুটপাট করেছেন এস আলম। দেশে তার বাড়ি, কলকারখানাসহ যেসব সম্পদ আছে, তা ক্রোক করলেও লুটপাটের ১০ শতাংশ অর্থ আদায় হবে না। দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে সাইপ্রাস ও সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিয়েছেন তিনি। ফলে বাংলাদেশ সরকার চাইলেও তার বিরুদ্ধে কতটা ব্যবস্থা নিতে পারবে বা অর্থ উদ্ধার করতে পারবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।


এসডি/