কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
ঘুরেফিরে কাজ পায় একই ঠিকাদার
মো. রুবেল হোসেন
প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ১৯শে আগস্ট ২০২৫

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চারবার কাজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বার বার কিভাবে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায় সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প বিগত আওয়ামী সরকারের আমলসহ বর্তমানেও বিশেষ একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে মরিয়া হয়েছে প্রকল্পটির কর্মকর্তারা।
একক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া অনিয়ম ও জালিয়াতির সামিল বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে। জানা যায়, বিশেষ এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ শর্তের কারণে দুটি লটের কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন।
সূত্র জানায়, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে কৃষক পর্যায়ে তেল মাড়ায় মেশিন তথা ওয়েল এক্সটেনশন সরবরাহের জন্য বিভিন্ন লটে দরপত্র আহ্বান করে প্রকল্প পরিচালক। তবে প্রথমে বিশেষ শর্ত দিলেও পরে তা সংশোধন করে প্রকল্প অফিস। সাবেক প্রকল্প পরিচালক আরশেদ আলী ও উপ প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম সিন্ডিকেট গড়ে তুলে তুলেছেন।
এ-র আগে গত বছর কৃষি মন্ত্রণালয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেয় একজন ভুক্তভোগী ঠিকাদার। সে সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দরপত্র আহ্বান বন্ধ করে ততকালীন প্রকল্প পরিচালক আরসাদ আলী। কিন্তু আগের পথেয় হাটছে বর্তমান প্রকল্প পরিচালকসহ অনান্য কর্মকর্তারা।
প্রথমে একই শর্ত আরোপ করে আবারও দরপত্র আহ্বান করেছে প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এরপর বিভিন্ন মহলের চাপে তিনি শর্ত শিথিল করতে বাধ্য হন। যদিও এর নেপথ্যে কাজ করেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। আওয়ামী শাসনের অবসান হলেও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে এখনও সক্রিয় আওয়ামী সিন্ডিকেট। প্রকল্পগুলোতে প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তন হলেও উপ প্রকল্প পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে রয়ে গেছে আওয়ামী শক্তি। ঠিক এমনটাই ঘটেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পে।
গত বছর একই দরপত্রে মারায় করার পর তেলের পরিমাণ ধরা হয়েছিল ৩৮ শতাংশ কিন্তু এ বছর মারায়ের পর তেলের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ শতাংশ কম করে ৩০ শতাংশ। অপরদিকে কাঠের ঘানিতে মারায় করলে তেলের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৩ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জনবাণীকে বলেন, নিয়ম মেনে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রথমে দরপত্রের শর্তগত কিছু কুটি ছিল যার ফলে দরপত্রে অংশ গ্রহণকারীর সংখ্যা কম হওয়ার আশংকা ছিল। পরে আমরা তা ঠিক করে দিয়েছি এখন অনেকেই দরপত্রে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন বলে আমি মনে করি।
এসডি/