পাকিস্তানকে প্রবল বন্যার আগাম সতর্কতা দিলো ভারত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০:৩৯ পিএম, ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাতলেজ নদীর পানি বৃদ্ধি এবং সামনে আরও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পাকিস্তানকে প্রবল বন্যার সতর্কতা দিয়েছে ভারত। ইতোমধ্যে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল। এরপ্রভাবে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। এরমধ্যেই নতুন করে আবারও পাকিস্তানকে বন্যার সতর্কতা দিলো ভারত।
বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, রবি (৭ জুন) ইসলামাবাদস্থ ভারতীয় হাইকমিশন পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে সাতলেজ নদীতে সম্ভাব্য প্রবল বন্যার ব্যাপারে অবহিত করে। সতর্কতায় বলা হয়, যেসব অঞ্চল ইতিমধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে সেগুলো আরও ডুবতে পারে।
আরও পড়ুন: দলে ভাঙন ঠেকাতে পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী
আগে পাকিস্তানকে সিন্ধু নদ চুক্তির আওতায় বন্যার ব্যাপারে সতর্ক করত ভারত। তবে চলতি বছরের এপ্রিলে জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর সিন্ধু নদ চুক্তি থেকে সরে যায় নয়াদিল্লি। এরপর থেকে পাকিস্তানকে কূটনৈতিক মাধ্যমে বন্যার সতর্কতা দিচ্ছে ভারত।
পাকিস্তানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ একটি সতর্কতা জারি করেছে। এতে আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা চালু, লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার তথ্য প্রচার এবং বাঁধগুলো আরও মজবুত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ মুলতান শহরটি সাতলেজ ও চেনাব নদীর মাঝে অবস্থিত, সেখানে বন্যার পানিতে অন্তত তিনটি বাঁধ ভেঙে গেছে, যার ফলে বহু গ্রাম ডুবে গেছে। এরমধ্যে পিরওয়ালা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে প্রবল স্রোতে ঘরবাড়ি, ফসলের জমি এবং ফসল ভেসে গেছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় জুয়া ও পতিতাবৃত্তির অভিযোগে ৩৭৭ বাংলাদেশি আটক
সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বাসিন্দারা কোমর সমান পানিতে দাঁড়িয়ে জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছেন, আর উদ্ধারকারীরা নৌকা ব্যবহার করে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। এরমধ্যে মুলতানে একটি উদ্ধারকারী নৌকা ডুবে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক ইরফান আলী কাথিয়া আনাদোলুকে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র পাঞ্জাব প্রদেশেই ১৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং মোট ৪১ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জুন মাসের শেষ থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ও বন্যায় পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত ৯০৭ জন মারা গেছেন এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে পাঞ্জাবের কয়েকটি অংশে আরও একটি বড় ধরনের মৌসুমি বৃষ্টি শুরু হবে। সূত্র: আনাদোলু
এমএল/