সরকার ইসলামের জন্য যা করেছে অতীতে তা কেউ করেনি: তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ইসলাম ও আলেম ওলামাদের জন্য যা করেছে অতীতের কোনো সরকার তা করেনি বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (৪ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও আলেমদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আলেম ওলামাদের শত বছরের পুরনো দাবি ছিল বাংলাদেশে একটি স্বতন্ত্র ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। ব্রিটিশ শাসন ভেঙে পাকিস্তান হলো, এরপর বাংলাদেশ হলো, কিন্তু ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আর প্রতিষ্ঠা হয়নি। জামায়াত ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করল, এরশাদ সাহেব মাওলানা মান্নানকে ধর্মমন্ত্রী বানালেন, কিন্তু ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারই ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করল।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির দাবি বহু বছরের পুরনো। বেগম খালেদা জিয়া কিংবা বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনো এই দাবি ছিল। উনি আলেম-ওলামাদের নিয়ে ভাত খাওয়াতেন, কিন্তু দাবি পূরণ করেননি। আমাদের রাঙ্গুনিয়ার কৃতি সন্তান মাওলানা আহমদ শফী সাহেব আলেম-ওলামাদের নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন, যেনো কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন।’
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘স্বীকৃতির পর অনেকে বলেছেন, স্বীকৃতি দিয়েছেন, কিন্তু চাকরি হবে না, চাকরি পেলে বেতন পাবেন না। কিন্তু, আমাদের নেত্রী শুধু কওমি সনদের স্বীকৃতি দেননি, তাদের চাকরিও দিয়েছেন। তাঁরা এখন সরকারি বেতন পাচ্ছেন।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে সারা দেশে এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব করা হয়েছে, রাঙ্গুনিয়াতেও দুই শতাধিক মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা হয়েছে। প্রতিটি মক্তবের আলেম পাঁচ হাজার ২০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এটি আলেম সমাজ কখনো ভাবেনি। দারুল আরকাম এবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রতিটিতে দুজন করে শিক্ষক ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এখন হজে যাবার সময় ঢাকায় ইমিগ্রেশন হয়ে যাচ্ছে। সৌদি আরব গিয়ে আগের মতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকতে হচ্ছে না।’
আলেমদের উদ্দেশ্যে ড. হাছান বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা কেউ কখনো ভাবেনি। ব্রিটিশ আমলে দেশ বিভক্ত হয়েছিল মুসলমানদের জন্য একটি দেশ, হিন্দুদের জন্য আরেকটি দেশ। সেই পাকিস্তান আমলেও জেলা-উপজেলায় সরকারিভাবে কোনো মসজিদ হয়নি।’
তথ্যমন্ত্র বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার ইসলামের জন্য এবং আলেম ওলামাদের জন্য যে কাজগুলো করেছে, আলেমরা অন্যদের কাছে তা দয়া করে বলবেন, এই ফরিয়াদ রইলো।’
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ইউএনও আতাউল গণি ওসমানি, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া নূরুল উলুম কামিল মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা নজমুল হক নঈমী, রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. মাওলানা আবদুল মাবুদ, আলমশাহপাড়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, রাণীর হাট আল আমিন হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম আল কাদেরী, খণ্ডলিয়াপাড়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো. সুলতান, কোদালা মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আবদুল কাদের, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাওলানা সৈয়দ আইয়ুব নুরী, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।
ওআ/