Logo

গণতন্ত্রের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না: কাদের

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ২৩:৪৬
11Shares
গণতন্ত্রের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না: কাদের
ছবি: সংগৃহীত

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাশা ক...

বিজ্ঞাপন

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাশা করে। তিনি বলেন, ‘আশা করি, সব দলের অংশগ্রহণে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা কারও ষড়যন্ত্রের মুখে থেমে থাকবে না, অতীতেও থাকেনি, আগামীতেও থাকবে না। গণতন্ত্রের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না।’

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বিএনপিসহ দেশের একটি চিহ্নিত মহল মনস্তাত্ত্বিকভাবে ‘ডিনায়াল সিনড্রোম’-এ ভুগছে অভিযোগ করে কাদের বলেন, ‘দেশের সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন, জনমত, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি কোনও কিছুর প্রতি তাদের কোনও ধরনের আস্থা নেই। বরবারই তারা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত্রের পথ বেছে নেয়। তারা সব সময় নির্বাচন ছাড়া হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা চালায়।’

বিবৃতিতে কাদের বলেন, ‘বিএনপি সব সময় অবৈধভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে ঐতিহ্যগতভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং বার বার বাংলাদেশের জনগণের প্রতিরোধের মুখে তারা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কে বিএনপি নেতাদের সম্প্রতিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ধ্বংসের দায়ও বিএনপির। বিএনপি তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে নির্লজ্জভাবে দলীয়করণ করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য সংবিধান সংশোধন করে বিচারপতিদের অবসরের বয়স সীমা বৃদ্ধি করেছিল। দলীয় রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের পদটি পর্যন্ত হাইজ্যাক করেছিল বিএনপি। বিএনপি তাদের শাসনামলে দেশের সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছিল। দেশের সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অবৈধ ও অসংবিধানিক বলে চূড়ান্ত রায় প্রদান করেছে।’ 

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নামক দলটি কখনই গণতন্ত্র চর্চা করে না এবং দল পরিচালনায়ও তারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে না। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে না, যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত হয়— কেবল তারাই বলতে পারে ‘নির্বাচন কমিশন চিনি না, নির্বাচন কমিশন বুঝি না, নির্বাচন কমিশন মানি না।’

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগ সব সময় সংবিধান, আইন ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে রাজনীতি করে আসছে। সংবিধান অনুসারে এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করেই যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সব সময় একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাশা করে। আমরা প্রত্যাশা করি, সব দলের অংশগ্রহণে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা কারও ষড়যন্ত্রের মুখে থেমে থাকবে না, অতীতেও থাকেনি, আগামীতেও থাকবে না। গণতন্ত্রের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না।’

ওআ/

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD