প্রবাসী আয়ে বইছে সুবাতাস, ২৫ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার

বিদেশি ঋণ ও বিনিয়োগে ধীরগতির মধ্যেও প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে আশার আলো জ্বালিয়ে রেখেছে। প্রবাসীদের নিয়মিত আয় প্রেরণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফিরিয়েছে এবং অর্থনীতিকে দৃঢ় অবস্থানে রেখেছে।
বিজ্ঞাপন
চলতি অক্টোবর মাস শেষ হতে এখনও ছয় দিন বাকি। এরই মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে পাঠিয়েছেন ২০৩ কোটি ২৯ লাখ মার্কিন ডলার (২.০৩ বিলিয়ন), যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার সমান (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে)।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বিজ্ঞাপন
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মতে, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ, প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের আধুনিকীকরণের ফলে রেমিট্যান্সে এই ধারাবাহিক ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের প্রথম ২৫ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৮ কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে কৃষি ব্যাংকে এসেছে ১৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪৪ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
এদিকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতিতে এ রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
বিজ্ঞাপন
গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ২৬৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার (২.৬৮ বিলিয়ন), যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৩২ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা।
অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন মোট ৭৫৮ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার (৭.৫৮ বিলিয়ন), যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এই অঙ্ক ছিল ৬৫৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
বিজ্ঞাপন
রেমিট্যান্সে এ ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।








