সঞ্চয়পত্র জালিয়াতিতে উঠে এল এনআরবিসি ব্যাংকের নাম

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চয়পত্রের সার্ভার ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য গ্রাহকের নামে থাকা সঞ্চয়পত্র ভেঙে টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি টের পেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি জালিয়াতি ঠেকাতেও পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে গত পরশু একটি জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে একজন গ্রাহক ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনেন। ওই গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব শাখায়। তবে এর মাত্র চারদিন পর, গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) ওই সঞ্চয়পত্র ভাঙানো হয় এবং অর্থ স্থানান্তর করা হয় এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুর উপশাখার এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির হিসাবে। পরে সেই টাকা একই দিনে ব্যাংকটির রাজধানীর শ্যামলী শাখা থেকে তুলে নেয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
তবে একই পদ্ধতিতে একই দিনে আরও দুটি সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর অপচেষ্টা করা হয়-যার একটি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা এবং অন্যটি এনআরবি ব্যাংকের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে আসায় ওই দুটি জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের গত আগস্ট পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭১ কোটি টাকা। এসব সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ভাঙানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদপ্তর ও পোস্ট অফিসের প্রায় ১২ হাজার শাখা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমের ভাই
এনআরবিসি ব্যাংকের শ্যামলী শাখার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) মো. মতিউর রহমান। এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তার। তবে এখন পর্যন্ত শুধু মাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকেই এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা শনাক্ত করা হয়েছে। অন্য কোন শাখায় বা প্রতিষ্ঠানে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কি না তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।








