বিশ্ববাজারে কমলো সোনার দাম, আরও পতনের আশঙ্কা

বিশ্ববাজারে সোনার দাম আবারও পতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। টানা কয়েকদিনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পর সোমবার সোনার স্পট দাম ৩ শতাংশ কমে এবং মঙ্গলবার আরও ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ৩,৯৬৩.৫৩ ডলারে।
বিজ্ঞাপন
এ মাসের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ৪,৩৮১ ডলার। অর্থাৎ মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে দাম প্রায় ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সোনার বাজারে এই পতন প্রাথমিকভাবে মার্কিন ও চীনের মধ্যে সম্ভাব্য বাণিজ্যিক চুক্তির প্রভাব থেকে এসেছে। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের সময় দুই দেশের মধ্যে চুক্তির সম্ভাবনা সোনার দাম কমার একটি বড় কারণ হিসেবে কাজ করেছে।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ববাজারে সোনার দাম কমার মূল কারণগুলোর মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার শিথিলতা এবং চীনা পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্য।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে দাম কমার এই ধারা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে প্রতি আউন্স সোনার দাম আরও কমে ৩,২৭০ থেকে ৩,৪৪০ ডলারের মধ্যে দাঁড়াতে পারে, যা বর্তমান মূল্যের তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ হ্রাস নির্দেশ করে।
তবে দীর্ঘমেয়াদে সোনার দামের আকাশচুম্বি সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান জেপি মর্গান পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৬ সালে প্রতি আউন্স সোনার দাম পৌঁছাতে পারে ৫,০৫৫ ডলারে, আর ২০২৮ সালে ৮,০০০ ডলার স্পর্শ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে, গোল্ডম্যান সাচের মতে, ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ৪,৯০০ ডলারের দিকে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ফের কমলো সোনা ও রুপার দাম
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, অ-ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের বৈশ্বিক সম্পদের বর্তমানে ২.৬ শতাংশ সোনায় বিনিয়োগ রয়েছে। জেপি মর্গান অনুমান করছে, ২০২৮ সালে এটি ৪.৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে, যা কয়েক বছরের মধ্যে সোনার বাজারে মূল্যের দ্বিগুণ বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে বৃদ্ধি করছে।
বিজ্ঞাপন
এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সোনার দিকে পুনরায় নজর দিতে বাধ্য করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বল্পমেয়াদে দাম কমলেও, দীর্ঘমেয়াদে সোনা এখনও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হচ্ছে।









