আগামী শিক্ষাবর্ষেও স্কুলে ভর্তিতে থাকছে লটারি পদ্ধতি

দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে আগামী শিক্ষাবর্ষেও শিক্ষার্থী ভর্তি হবে লটারির মাধ্যমে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খুব শিগগিরই নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৯ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সভায় সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী শিক্ষাবর্ষেও লটারির মাধ্যমেই শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি ঘোষণা করা হবে।
অন্যদিকে, সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি’ ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে। সংগঠনটি সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব রেহানা পারভীনের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছে। আবেদনপত্রে আহ্বায়ক একেএম আজাদ ও সদস্য সচিব মো. আব্দুল মুবীনের স্বাক্ষর রয়েছে।
তাদের দাবি, স্কুলে ভর্তি লটারির মাধ্যমে হলে শিক্ষার মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ২০২৬ সালেও এই পদ্ধতি বহাল থাকার খবর জানার পর দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন। তারা মনে করেন, লটারি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বিশাল নিয়োগ আসছে প্রাইমারিতে
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের আগে স্কুলে ভর্তিতে ভর্তি পরীক্ষা ছিল বাধ্যতামূলক। তবে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমানো ও অনিয়ম প্রতিরোধে ২০১১ সালে লটারি পদ্ধতি চালু করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালে মহামারির সময় এটি বাধ্যতামূলক করা হয়। যদিও পরবর্তী বছরগুলোতে নিয়ম কিছুটা শিথিল হয়েছিল, তবুও এবার আবারও লটারিই বহাল থাকছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।








