পরীমনির সঙ্গে তুলনা, ক্ষিপ্ত হয়ে যা বললেন ডাকসু নেত্রী

স্বৈরাচার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার দিনে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে আবারও আনা হয় দুটি বুলডোজার।
বিজ্ঞাপন
ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরানোর জন্য সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং রাফিয়া পুলিশের সঙ্গে একপর্যায়ে তর্কেও জড়িয়ে পড়েন।
প্রসঙ্গত, এ সময় কেউ উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়াকে বলেন, পরীমনির মতো ভাইরাল হতে এসেছেন এখানে? এমন মন্তব্য শুনে রাফিয়া ক্ষিপ্ত হন এবং বারবার জানতে চান কে এই কথা বলেছে। তিনি পুলিশের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলেন, আপনাদের কেন মনে হয়েছে আমি পরীমনির মতো ভাইরাল হতে এসেছি?
বিজ্ঞাপন
ঘটনার পর রাফিয়া নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন, যেখানে তিনি জানান যে ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়ানোর ইচ্ছা তার নেই।
রাফিয়া পোস্টে বলেন, দেখেন, একটা স্পষ্ট কথা বলি, ভবিষ্যতে আমার রাজনীতিতে জড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। এনসিপির প্রতি আশা ছিল, সেই আশা আস্তে আস্তে নিভতেসে। ‘মন্দের ভালো’ বলে কোনো দলের সাথে আমি যাব না।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, যত দিন মজলুমের ওপর লাঠিচার্জ হবে, যত দিন স্বৈরাচারের প্রেতাত্মা সিন্দাবাদের ভূতের মতো আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের ঘাড়ে সাওয়ারি হয়ে থাকবে, তত দিন আমি জালিমের বিরুদ্ধে দাঁড়াব। আমার কোনো দল নাই, রাজনৈতিক কোনো স্বার্থ নাই। শুধু অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ছাড়া আমার কোনো উদ্দেশ্যও নাই।








