‘বলিউডে টিকে থাকতে হলে ব্যক্তিত্ব বজায় রাখতে হয়’

নব্বইয়ের দশকে বলিউড শাসন করা মাধুরী দীক্ষিতের ক্যারিয়ার যতটা উজ্জ্বল, ততটাই আলোচনার জন্ম দিয়েছে ফিরোজ খান পরিচালিত সিনেমা দয়াবান-এর একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্য। দীর্ঘ বছর পর সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই খোলামেলা কথা বললেন বলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
বিজ্ঞাপন
১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া দয়াবান ছবির ‘আজ ফির তুমপে পেয়ার আয়া হ্যায়’ গানটি আজও দর্শকদের কাছে আইকনিক। কিন্তু সেই দৃশ্যের শুটিং মাধুরীর জীবনে ছিল চরম অস্বস্তিকর এক অধ্যায়। সম্প্রতি ‘রেডিও নেশা’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তখন তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে একেবারেই নতুন, নিজের জায়গা করে নেওয়ার লড়াইয়ে ব্যস্ত। বিপরীতে সহ-অভিনেতা বিনোদ খান্না ছিলেন প্রতিষ্ঠিত সুপারস্টার।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে তারকাদের যে ভাবনা
মাধুরী বলেন, “সব অভিজ্ঞতাই শেখার অংশ। কিন্তু ওই দৃশ্যটি করার পর আমি ভীষণ অস্বস্তিতে পড়েছিলাম। তখনই মনে হয়েছিল— এমন দৃশ্যে আমার অভিনয় করা উচিত হয়নি।” সেই মুহূর্ত থেকেই নিজের জন্য স্পষ্ট সীমারেখা টেনে নেন তিনি এবং সিদ্ধান্ত নেন, ভবিষ্যতে আর এ ধরনের দৃশ্যে অংশ নেবেন না।
বিজ্ঞাপন
সেই সময়ের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ছিল আরও কঠিন। দৃশ্য ধারণের সময় বিনোদ খান্না আবেগে এতটাই ডুবে গিয়েছিলেন যে, ‘কাট’ বলার পরও দৃশ্য থামেনি। শুটিং শেষে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন মাধুরী এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে জানান তিনি। যদিও রক্তপাতের প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু বলেননি, তবে পুরো ঘটনাই তাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল।
পরবর্তীতে বিনোদ খান্না নিজের আচরণের জন্য মাধুরীর কাছে ক্ষমা চান। একইসঙ্গে পরিচালক ফিরোজ খানও স্বীকার করেন, তরুণ অভিনেত্রীর সঙ্গে এমন দৃশ্য করা ঠিক হয়নি। এই ঘটনার পর আর কখনোই বিনোদ খান্নার সঙ্গে কোনো সিনেমায় জুটি বাঁধেননি মাধুরী।
বিজ্ঞাপন
পুরনো স্মৃতি টেনে এনে মাধুরী বলেন, “আজও ওই দৃশ্য দেখলে নিজেকে অসহায় মনে হয়। কিন্তু ওই একটি অভিজ্ঞতাই আমাকে শিখিয়েছে— বলিউডে দীর্ঘদিন টিকে থাকতে হলে নিজের ব্যক্তিত্ব, সম্মান আর সীমারেখা কীভাবে ধরে রাখতে হয়।”








