ইন্ডাস্ট্রিতে পারিশ্রমিক নিয়ে বৈষম্য ছিল, এখনও আছে : মাধুরী দীক্ষিত

নব্বইয়ের দশকের বলিউড মানেই মাধুরী দীক্ষিত—হাসি, অভিব্যক্তি আর নাচে যিনি পর্দা দাপিয়ে বেড়িয়েছেন এক দশকজুড়ে। তেজাব, হাম আপকে হ্যায় কৌন, প্রহার কিংবা পুকার—প্রতিটি ছবিতে গ্ল্যামার ও অভিনয়ের সমানতালে নিজেকে কিংবদন্তির আসনে বসিয়েছেন তিনি। অথচ সে সময় ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী হয়েও বৈষম্যের মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ারের শুরুর দিনের সংগ্রাম এবং বলিউডের বাস্তবতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন মাধুরী। তার মতে, সিনেমার ঝলমলে জগতের আড়ালে পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বৈষম্য তখন যেমন ছিল, এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মাধুরী বলেন, পরিবর্তন ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়। একসময় এমন ছিল, যখন সেটে নারী বা পুরুষ—কারও জন্যই ভ্যানিটি ভ্যান থাকত না। আমরা রোদে ছাতা মাথায় নিয়ে বসে থাকতাম। অনেক সময় ওড়না ঘিরে পোশাক বদলাতে হতো। তখন এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলার কথা মাথায়ই আসেনি। অন্তত এখন সেই জায়গাগুলোতে পরিবর্তন এসেছে।
বিজ্ঞাপন
পারিশ্রমিকের প্রসঙ্গে আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, শুধু বলিউড নয়, প্রায় সব ইন্ডাস্ট্রিতেই সমান পারিশ্রমিক ও সুযোগ নিয়ে বৈষম্য দেখা যায়।
তবে একই সঙ্গে বাস্তবতাও তুলে ধরেন এই অভিনেত্রী। তার কথায়, “যদি কোনো অভিনেত্রী প্রমাণ করতে পারেন যে তিনিও দর্শক টানতে পারেন, তাহলে প্রযোজকরা সেটা গুরুত্ব দেন। নারী বা পুরুষ—শেষ পর্যন্ত স্টারডমই সিদ্ধান্ত নেয়। তাই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা শক্ত করা নারীদের জন্য খুব জরুরি।”
আরও পড়ুন: টম ক্রুজের নতুন সিনেমা ‘ডিগার’
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, নব্বইয়ের দশকে যখন বাণিজ্যিক সিনেমায় নায়িকাদের বেশির ভাগ সময় গ্ল্যামারের ফ্রেমেই আটকে রাখা হতো, তখন মাধুরী দীক্ষিত নারীকেন্দ্রিক ও শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করে সেই ধারা ভেঙে দেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বড় পর্দা ছাড়িয়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও নিজের অভিনয়ের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন এই কালজয়ী তারকা।








