ডেঙ্গুর প্রকোপ, এক সপ্তাহে ১৪ জনের প্রাণহানি

এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ এখন শুধু শহরেই সীমাবদ্ধ নয়, ছড়িয়ে পড়ছে গ্রাম-গঞ্জেও। প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ যথাযথভাবে না নেওয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে।
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে (শনিবার থেকে শুক্রবার) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪ জন। একই সময়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ৭৯৯ জন রোগী।
গত সাত দিনের পরিসংখ্যানে দেখা যায়—
বিজ্ঞাপন
২৭ সেপ্টেম্বর: মৃত্যু নেই, ভর্তি ৫১৪ জন
২৮ সেপ্টেম্বর: মৃত্যু ৪ জন, ভর্তি ৮৪৫ জন
২৯ সেপ্টেম্বর: মৃত্যু ৩ জন, ভর্তি ৭৩৫ জন
বিজ্ঞাপন
৩০ সেপ্টেম্বর: মৃত্যু ৩ জন, ভর্তি ৫৫৬ জন
১ অক্টোবর: মৃত্যু ২ জন, ভর্তি ৪৯০ জন
২ অক্টোবর: মৃত্যু ২ জন, ভর্তি ৩৯৬ জন
বিজ্ঞাপন
৩ অক্টোবর: মৃত্যু নেই, ভর্তি ২৬৩ জন
২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৮ হাজার ৪৯১ জন। এর মধ্যে ৪৫ হাজার ৯৮৮ জন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন। তবে প্রাণ হারিয়েছেন ২০২ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
বিজ্ঞাপন
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুর ভয়াবহতম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সে বছর মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং মারা গিয়েছিলেন এক হাজার ৭০৫ জন রোগী। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে চলতি বছরও পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
বিজ্ঞাপন