হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে জবাবদিহির মুখোমুখি দেখতে চায় জাতিসংঘ

স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশে হতাহত হয়েছেন
বিজ্ঞাপন
সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হত্যা ও সহিংসতা চালানোর দায়ে প্রধানমন্ত্রী পদ পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের জবাবদিহির মুখোমুখি দেখতে চায় জাতিসংঘ।
মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন কথা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
ব্রিফিংয়ে স্টিফেন ডুজারিকের কাছে একজন গণমাধ্যমকর্মী প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশ স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। কঠিন এ সময়ে এই দেশকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ। তবে যারা ৮১৯ জন মানুষকে হত্যা এবং ২৫ হাজার মানুষকে আহত করার জন্য দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব কি কিছু বলেছেন? তাদের অধিকাংশই গুলি বা স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশে হতাহত হয়েছেন।’
বিজ্ঞাপন
এমন প্রশ্নের উত্তরে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, “আমরা এই বিশেষ সংকটের শুরু থেকেই জবাবদিহির কথা বলে আসছি। সহিংসতা, প্রাণহানি এবং মানবিক ও রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহির দরকার রয়েছে।”
বিজ্ঞাপন
প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর করার আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতিসংঘের মহাসচিবের আন্তোনিও গুতেরেসের দেয়া একটি চিঠির বিষয়ে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, “আমি মহাসচিবের পাঠানো একটি চিঠি সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন পেয়েছি। আমি আপনাকে বলতে পারি যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি অভিনন্দনপত্র লিখেছেন গুতেরেস।”
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, “চিঠিতে মহাসচিব বাংলাদেশে শান্তি ফেরানো এবং সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন। মহাসচিব বলেছেন যে, জাতিসংঘের প্রত্যাশা ড. ইউনূসের সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পন্থা গ্রহণ করবে, যার মধ্যে তরুণদের পাশাপাশি নারী, সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বরও বিবেচনা করা হবে।”
বিজ্ঞাপন
আন্তোনিও গুতেরেসের বলেন, “দেশের সব নাগরিক, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ভরসা করছেন গুতেরেস। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মঙ্গল নিশ্চিত করতে ড. ইউনূসের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন মহাসচিব, বিশেষ করে মিয়ানমারের অবনতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে।”
বিজ্ঞাপন
জেবি/এসবি








