সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইমরান খানের পোস্ট

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ঘিরে কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল তার মৃত্যু–গুঞ্জন।
বিজ্ঞাপন
রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বোন ড. উজমা খানের সাক্ষাৎ পাওয়ার মধ্য দিয়ে ওই গুজবের অবসান ঘটলেও প্রকাশ্যে এসেছে নতুন এক তথ্য— কারাগারে তার ওপর চালানো নির্যাতনের অভিযোগ।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ইমরান খানের অফিসিয়াল এক্স–অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত দীর্ঘ এক পোস্টে দাবি করা হয়, তাকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখা হয়েছে। পোস্টে বলা হয়, তিনি এমন একটি নির্জন সেলে বন্দি যেখানে গত চার সপ্তাহে কারও সঙ্গে তার কথা বলার সুযোগ হয়নি। সাধারণ বন্দিদের জন্য কারাগারের নিয়মে যে ন্যূনতম সুবিধা থাকার কথা, সেটিও তাকে দেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞাপন
পোস্টে আরও দাবি করা হয়, ইমরান ও তার স্ত্রীকে সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনিরের নির্দেশে সাজানো মামলায় আটক রাখা হয়েছে।
ড. উজমা খান কারাগারে গিয়ে দেখা করার পর জানান, তার ভাই তাকে কারাগারের ভেতরে চালানো মানসিক নির্যাতনের বিষয়গুলো ব্যক্ত করেছেন। ঠিক তার পরদিনই ইমরানের এক্স–পোস্টটি প্রকাশিত হওয়ায় দেশজুড়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
পোস্টে অসীম মুনিরকে মানসিকভাবে অস্থিতিশীল আখ্যা দিয়ে ইমরান খান দাবি করেন, সেনাপ্রধানের নীতি পাকিস্তানের জন্য “বিধ্বংসী” হয়ে উঠেছে। তার মতে, মুনিরের সিদ্ধান্তে সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, পশ্চিমা শক্তিগুলোর মনোরঞ্জন করতে পাকিস্তানকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে অযথা উত্তেজনা সৃষ্টি করা হচ্ছে, শরণার্থীদের বহিষ্কার ও ড্রোন হামলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বিজ্ঞাপন
ইমরানের ভাষ্য, “রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণে নৈতিকতার দেউলিয়াত্বই আজ পাকিস্তানের সংবিধান ও আইনকে ধসিয়ে দিচ্ছে।”
২০২২ সালে আস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। এরপর থেকে তার বিরুদ্ধে বহু মামলা হয়। ২০২৩ সালে একবার গ্রেপ্তার হয়ে মুক্তি পেলেও একই বছরের আগস্টে আবার গ্রেপ্তার হন তিনি। সেই থেকেই তিনি কারাগারে বন্দি।
বিজ্ঞাপন
ইমরানের সর্বশেষ পোস্টে ওঠা অভিযোগগুলো পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে।








