খাইবার পাখতুনখোয়ায় সেনা অভিযানে ১৩ সন্ত্রাসী নিহত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নু ও মোহমান্দ জেলায় পরিচালিত পৃথক দুইটি সামরিক অভিযানে অন্তত ১৩ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। নিহতদের সবাই নিষিদ্ধ কট্টর ইসলামপন্থি সংগঠন তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং তাদের সহযোগী গোষ্ঠীর সদস্য বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আন্তঃবিভাগীয় জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে মোহমান্দ জেলায় ৭ জন এবং বান্নু জেলায় ৬ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়। আইএসপিআর নিহতদের ‘ফিতনা আল-খারিজি’ ও ‘ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই জেলায় অভিযান এখনো চলমান রয়েছে এবং প্রয়োজনে আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বিজ্ঞাপন
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী তৎপরতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়া টিটিপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত, অন্যদিকে বেলুচিস্তানে সক্রিয় রয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। উভয় সংগঠনই পাকিস্তানে নিষিদ্ধ।
ইসলামাবাদভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (সিআরএসএস)-এর এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাসে পাকিস্তানে সন্ত্রাস-সংশ্লিষ্ট সহিংসতা আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় ৪৬ শতাংশ বেড়েছে।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানিস্তানের তালেবান সরকার টিটিপিকে আশ্রয় ও সহায়তা দিচ্ছে। যদিও তালেবান সরকার এই অভিযোগ বরাবরের মতো অস্বীকার করেছে। সম্প্রতি কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আফগান ইসলামি চিন্তাবিদরা জানান, তারা চান না আফগান ভূখণ্ড অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হোক।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বৈঠককে স্বাগত জানালেও জানিয়েছে, এ ধরনের আশ্বাস অতীতেও বহুবার দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: জিও নিউজ








