ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কী খাবেন জেনে রাখুন

আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ও যত্ন নেওয়ার বেশিরভাগ উপকরণই আসে রান্নাঘর থেকে। হলুদ, দুধ থেকে আমলকির রস পর্যন্ত, আমরা সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি যে আসল সৌন্দর্য ভেতর থেকেই শুরু হয়। এমন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা নীরবে সৌন্দর্য জগতের উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যকর ত্বকের গোপন অস্ত্রে পরিণত হয়েছে, তার নাম গ্লুটাথিয়ন।
বিজ্ঞাপন
মাস্টার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামে পরিচিত গ্লুটাথিয়ন শরীরের গভীরে কাজ করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে, বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল করে রাখে। এটিকে ত্বকের অভ্যন্তরীণ ডিটক্স বন্ধু হিসেবে কাজ করে, যা দূষণ, সূর্যের আলো এবং সপ্তাহান্তে আমরা যে সমস্ত জাঙ্ক ফুড খেয়ে থাকি, তার ফলে সৃষ্ট ক্ষতি মেরামতে সাহায্য করে।
তাহলে ত্বকের যত্নে দামি সিরাম বা চিকিৎসার পরিবর্তে, কেন আপনার খাবারের থালা দিয়ে শুরু করবেন না? তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু গ্লুটাথিয়ন সমৃদ্ধ খাবারের কথা, যেগুলো আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য সহায়তা করতে পারে।
বিজ্ঞাপন
পালং শাক
পালং শাক গ্লুটাথিয়নের অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উৎস, যা ক্লোরোফিল এবং ভিটামিনে ভরপুর। এটি নিস্তেজ, ক্লান্ত ত্বক মেরামত করে। প্রতিদিন এক বাটি পালং শাক সবজি, পালং ডাল, এমনকী পালং শাক দিয়ে তৈরি গ্রিন স্মুদি ত্বকের জন্য অসাধারণ কাজ করে।
বিজ্ঞাপন
পালং শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেলকে নিউট্রাল করতে সাহায্য করে, যার অর্থ কোষের ক্ষতি কমায় এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। পালং শাক রান্না করার সময় এক চিমটি লেবুর রস যোগ করুন, ভিটামিন সি শোষণ বাড়ায় এবং এর গ্লুটাথিয়নের মাত্রা সংরক্ষণ করে।
পেঁপে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে এমন একটি ফল হলো পেঁপে। ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন এবং গ্লুটাথিয়নে সমৃদ্ধ এই ফল লিভারের কার্যকারিতা এবং ত্বকের পুনরুজ্জীবনে সহায়তা করে।
বিজ্ঞাপন
পেঁপে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করতে এবং ত্বককে নিস্তেজ করে তোলে এমন অক্সিডেটিভ ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক বাটি পাকা পেঁপে খেলে তা ত্বককে পুষ্টি জোগানোর সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে কার্যকর উপায়ের মধ্যে একটি হতে পারে।
হলুদ এবং রসুন
বিজ্ঞাপন
প্রতিটি রান্নাঘরে পাওয়া দুটি সবচেয়ে শক্তিশালী গ্লুটাথিয়ন-বর্ধক উপাদান হলো হলুদ এবং রসুন। হলুদে কারকিউমিন থাকে, যা কেবল প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে না বরং শরীরের নিজস্ব গ্লুটাথিয়নের উৎপাদন বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। অন্যদিকে, রসুনে প্রচুরসালফার যৌগ থাকে যা লিভারে গ্লুটাথিয়ন সংশ্লেষণকে সহায়তা করে, যা শরীরের ডিটক্স সেন্টার।
হলুদে দুধ দিয়ে আপনার দিন শুরু করুন, অথবা আডাল এবং শাক-সবজিতে রসুনের ফোড়ন যোগ করুন। এই মিশ্রণটি আপনার শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে ত্বককে আরও উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে থাকে।








