শীতের সময় করণীয়

শীত মৌসুমে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগের ঝুঁকি। চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
সঠিক অভ্যাস ও সচেতনতা থাকলে শীতকাল সুস্থভাবে পার করা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।
চিকিৎসকদের মতে, শীতের সময় শরীর গরম রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সকালে ও রাতে উষ্ণ পোশাক পরা, বিশেষ করে মাথা, কান ও গলা ঢেকে রাখা জরুরি। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন, কারণ তারা সহজেই ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হতে পারেন।
শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার এবং কুসুম গরম পানিতে গোসল করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল করলে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: খাবারের পরে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা
খাদ্যাভ্যাসের দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। শীতের সময় ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি, গরম খাবার এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। ঠান্ডা পানি ও অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগ এড়াতে ভোরে কুয়াশার মধ্যে বাইরে বের হওয়া কমানো এবং প্রয়োজন ছাড়া খুব ভোরে হাঁটা এড়িয়ে চলার কথা বলা হচ্ছে। বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করলে ধুলা ও ঠান্ডা বাতাসের প্রভাব কমে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া শীতকালে শারীরিক পরিশ্রম ও হালকা ব্যায়াম চালু রাখার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে শরীর গরম থাকে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
আরও পড়ুন: বড়দিনের আয়োজনে ৫টি সহজ ও মুখরোচক রেসিপি
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, জ্বর, সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দেরি না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শীতের এই সময়ে সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে ঠান্ডাজনিত রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।








