ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট

সেই সঙ্গে যানবাহনগুলোকে দীর্ঘক্ষণ এক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জ অংশে ৮ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে বৃষ্টিতে যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নারী-শিশুরা।
বুধবার (২ অক্টোবর) রাত থেকেই মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় থেকে বন্দরের কেওঢালা এলাকা পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে সাড়ে ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র যানজটের কারণে যাত্রীরা যথাসময়ে গন্তব্যস্থলে যেতে পারছেন না। সেই সঙ্গে যানবাহনগুলোকে দীর্ঘক্ষণ এক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
যানজটে আটকে পড়া জান্নাতুর রহমান নামের এক চাকরিজীবী বলেন, “অফিসে যাওয়ার জন্য শনির আখড়া থেকে সকাল ৭টায় গাড়িতে উঠেছি। কোনোমতে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত আসতে পারলেও আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। আজ অফিস মিস হয়ে গেলো।”
বিজ্ঞাপন
রুবেল হোসাইন নামে আরেক যাত্রী বলেন, “মহাসড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো তাৎপরতা দেখছি না। এইভাবে সকাল থেকে যানজটে আটকে আছি। মৌচাক বাসস্ট্যান্ড থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত আসতেই এক ঘণ্টা সময় চলে গেছে।”
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আবু নাঈম জানান, বুধবার দিবাগত রাতে মহাসড়কের কেওঢালা, লাঙ্গলবন্দসহ কয়েকটি স্থানে গাড়ি বিকল হয়ে যায়। আবার এ সময় কিছু যানবাহন উল্টো পথে প্রবেশ করলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “এরই মধ্যে আমরা কয়েকটি গাড়ি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে ফেলেছি। বাকিগুলো সরানোর চেষ্টা চলছে। বৃষ্টির কারণে আমাদের কাজ করতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবে যানজট নিরসনে আমাদের একাধিক টিম মহাসড়কে কাজ করছে। আশা করছি, খুব শিগগির যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।”
বিজ্ঞাপন
জেবি/এসবি