চীনের জে-১০ সিই যুদ্ধবিমানে কেন আগ্রহ সরকারের?

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের কাছ থেকে অত্যাধুনিক ২০টি জে-১০ সিই মডেলের যুদ্ধবিমান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার এ ক্রয়চুক্তি নিয়ে রাজনৈতিক ও সামরিক মহলে চলছে ব্যাপক আলোচনা। নির্বাচনের মাত্র চার মাস আগে এমন একটি বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি কেন, তা নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন।
বিজ্ঞাপন
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সম্প্রতি তার ফেসবুক প্রোফাইলে জানান, বাংলাদেশ সরকার বিমানবাহিনীকে আধুনিকায়ন এবং জাতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করতে এই যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চুক্তিটি সরাসরি ক্রয় বা সরকারে-সরকারে (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে সম্পন্ন হতে পারে বলে জানা গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার এই সময়ে এমন বড় আকারের প্রতিরক্ষা চুক্তি সরকারের জন্য রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে যুদ্ধবিমান ক্রয় জরুরি।
বিজ্ঞাপন
চীনের তৈরি জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান বিশ্বের অন্যতম আধুনিক মাল্টিরোল ফাইটার। এটি প্রতিরক্ষামূলক ও আক্রমণাত্মক দুই ধরনের মিশনেই সমানভাবে কার্যকর। একক ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই বিমানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো অল্প জায়গায় দ্রুত ‘টেক অফ’ করার ক্ষমতা। রানওয়ের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিমানটি অন্য অংশ থেকেই উড্ডয়ন করতে সক্ষম।
বিশেষজ্ঞরা জানান, জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান শব্দের দ্বিগুণ গতিতে (প্রায় ঘণ্টায় ২,৪১৫ কিলোমিটার) উড়তে পারে এবং এর উন্নত রাডার সিস্টেম রাফালের চেয়েও শক্তিশালী। এটি আকাশ থেকে আকাশে ও ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র এড়িয়ে শত্রুপক্ষকে ফাঁকি দিতে সক্ষম।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সাম্প্রতিক চীন সফরগুলিও সেই সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।