একক প্রার্থী থাকলেও ভোটাররা দিতে পারবেন ‘না’ ভোট: আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনে কোনো আসনে যদি একক প্রার্থী থাকে, সেক্ষেত্রে ভোটাররা ‘না’ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এর ফলে প্রার্থী পছন্দ না হলে ভোটাররা তাদের অনাস্থা প্রকাশ করতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নির্বাচন সম্পর্কিত আইন আরপিও (Representation of the People Order)–এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, “২০১৪ সালের সাজানো নির্বাচনের স্মৃতি নিশ্চয়ই সবার মনে আছে, যেখানে ১৫৪ আসনে একক প্রার্থী ছিলেন। এবার যেন সেই ধরনের পরিস্থিতি না হয়, তাই নতুন বিধানে ভোটাররা চাইলে একক প্রার্থীর বিপক্ষে ‘না’ ভোট দিতে পারবেন। প্রার্থী অনুপযুক্ত বা অগ্রহণযোগ্য মনে হলে ভোটাররা না ভোট দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ‘না’ ভোটের হার বেশি হলে সেই আসনে পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
বিজ্ঞাপন
নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যে দলগুলো জোটের অংশ হবে, তাদের নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। এতে ভোটাররা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন কোন প্রার্থী কোন দলের।”
পোস্টাল ব্যালটের বিধান নিয়েও নতুন পরিবর্তনের কথা জানান আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, “নির্বাচনের দিন যারা দায়িত্বে থাকবেন, যেমন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রিজাইডিং অফিসারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। একইভাবে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীরাও এই সুবিধা পাবেন। ভোট গণনার সময় গণমাধ্যমকেও উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।”
বিজ্ঞাপন
রাজনৈতিক অর্থায়ন বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চান, তাহলে তা অবশ্যই ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দিতে হবে। পাশাপাশি দাতার আয়কর রিটার্নও জমা দিতে হবে।”
শেষে তিনি জানান, “আগে কেবল নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা যেত। এখন থেকে নির্বাচন কমিশন মনে করলে পুরো নির্বাচনী এলাকার ভোটও বাতিল করতে পারবে।”