Logo

সাংবাদিকদের পাওনা আদায়ে সরকারি লোকজনের কাছে আর্জি ‘বিব্রতকর’

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১৪:১৩
31Shares
সাংবাদিকদের পাওনা আদায়ে সরকারি লোকজনের কাছে আর্জি ‘বিব্রতকর’
উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার | ফাইল ছবি

দেশের সাংবাদিকরা ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে আর্জি দিতে বাধ্য হচ্ছেন। বিষয়টি ‘বিব্রতকর’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধিদপ্তরের উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) তিনি এ প্রসঙ্গে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

আজাদ মজুমদার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ইদানিং দেখি, অনেক সাংবাদিক নিজেদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য সরকারি লোকজনের কাছে আর্জি জানান। এই বিষয়টা আমাদের জন্য বিব্রতকর। যাদের কলম ও কণ্ঠে প্রতিদিন মানুষের অধিকার ও ন্যায়বিচারের কথা উঠে আসে, তারাই যখন নিজেদের প্রাপ্যটুকুর জন্য অসহায় হয়ে পড়েন — সেটি আসলে সবার জন্যই হতাশার।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা, যেখানে চাকরির নিশ্চয়তা প্রায় নেই। অধিকাংশের বেতনও অন্যান্য পেশার তুলনায় অনেক কম। তবে সবচেয়ে বড় অন্যায় ঘটে, যখন কেউ বহু বছরের পরিশ্রম শেষে প্রতিষ্ঠান ছাড়েন, কিন্তু প্রাপ্য অর্থ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকেন। বিশেষ করে টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যমের সাংবাদিকরা প্রায়শই তাদের পারিশ্রমিক পাননি। পত্রিকার ক্ষেত্রে যারা ওয়েজ বোর্ডের আওতায় থাকেন, তাদেরও প্রাপ্য পাওনা অনেক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে সংগ্রহ করতে হয়।

আজাদ মজুমদার লিখেছেন, এমন অনেক সাংবাদিককে দেখেছি, বছরের পর বছর মনপ্রাণ ঢেলে কাজ করেছেন; টানা মাসের পর মাস এমনকি সাপ্তাহিক ছুটিও নেননি। অর্জিত ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি—সবই ফেলে রেখেছেন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে। ১৬ বছর চাকরি করলেও, যদি কেউ ছুটি না নেন, আইন অনুযায়ী তাঁকে মাত্র দুই মাসের অর্জিত ছুটির অর্থ দেওয়া হয়। অর্থাৎ বাকি এক বছর দুই মাসের মতো সময় তিনি লিটারেলি বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেন! আর যখন সেই দুই মাসের পাওনা চাইতে যান, তখন এমন আচরণ করা হয় যেন সাংবাদিকটিকে কোনো “দয়া” করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি উল্লেখ করেছেন, শ্রম আইনের আওতায় মামলা করার সুযোগ থাকলেও তা প্রায়শই মালিকপক্ষের সুবিধার্থে চলে। কারণ মামলা হলে রায় না হওয়া পর্যন্ত অর্থ প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকে না। বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি বিচার প্রক্রিয়া তো সকলেরই জানা, অনেক ক্ষেত্রে দশ বছরেও রায় আসে না।

উপ-প্রেস সচিব আরও বলেন, এই অবস্থায় মালিক বা কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোই হওয়ার কথা ছিল শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু বাস্তবে সেগুলোও আজ অনেকটাই নিরুত্তর। ইউনিয়ন নেতারা আসলে কি করেন কেউ জানে না।

জেবি/এএস
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD