ফিরল ‘না ভোট’, এমপি হওয়া যাবে না বিনা ভোটে

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের স্মৃতি মাথায় রেখে, যেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জন ‘এমপি’ নির্বাচিত হয়েছিলেন, এবার সেই পরিস্থিতি এড়াতে ‘না ভোট’ প্রক্রিয়া পুনঃপ্রবর্তন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব (আরপিও) সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশটি অনুমোদন করেছেন।
আরও পড়ুন: ইসির নিবন্ধন পাচ্ছে তিন দল : ইসি সচিব
এ অধ্যাদেশের খসড়া আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়। নির্বাচনী পরিস্থিতি ও সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতা ব্যবহার করে আরপিওতে একাধিক পরিবর্তন এবং নতুন বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হল ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘না ভোট’-এর বিধান। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো নির্বাচনী এলাকায় যদি একক প্রার্থী থাকেন, তাহলে ব্যালটপেপারে ‘না ভোট’-এর বিকল্প থাকবে। অর্থাৎ ভোটাররা চাইলে সেই একক প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন।
নির্বাচনের ফলাফলের নিয়মও স্পষ্টভাবে নির্ধারিত হয়েছে। যদি ‘না ভোট’-এর সংখ্যা প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে বেশি হয়, তবে ওই নির্বাচনী এলাকায় নতুন নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে নতুন নির্বাচনের ক্ষেত্রেও শেষ পর্যন্ত যদি শুধুমাত্র একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, তাকে তখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
এর পাশাপাশি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল প্রক্রিয়া চলাকালীন কাউকেই নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে না। এই বিধান নিশ্চিত করছে যে একক প্রার্থীর ক্ষেত্রেও ভোটারদের ভোটাধিকার যথাযথভাবে রক্ষা হবে।
বিজ্ঞাপন
আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী মাঠকে আরও নিরপেক্ষ, প্রতিযোগিতামূলক এবং স্বচ্ছ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ‘না ভোট’-এর বিধান একক প্রার্থীর নির্বাচনে গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করবে এবং ভোটারদের শক্তিশালী ভূমিকা নিশ্চিত করবে।








