মানবাধিকার কমিশনে হচ্ছে নতুন ‘জাতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিভাগ’

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে সংশোধিত অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশিত হয়।
সংশোধিত অধ্যাদেশে নতুনভাবে ‘জাতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিভাগ’ গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এই বিভাগের মাধ্যমে কমিশনকে স্বাধীন বাজেট, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং স্বাধীনতা বঞ্চিত ব্যক্তিদের সুরক্ষায় বিস্তৃত ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নির্যাতন ও অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা লাঞ্ছনাকর আচরণ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে গঠিত এই নতুন বিভাগের অধীনে ‘অপশনাল প্রোটোকল টু দ্য কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট টরচার অ্যান্ড আদার ক্রুয়েল, ইনহিউম্যান অর ডিগ্রেডিং ট্রিটমেন্ট অর পানিশমেন্ট’ বাস্তবায়ন করা হবে।
নির্দেশ অনুযায়ী, নতুন বিভাগের প্রধান হবেন কমিশনের চেয়ারম্যান। সঙ্গে থাকবেন কমিশন মনোনীত একজন কমিশনার এবং কারাবন্দি বা স্বাধীনতা বঞ্চিতদের অধিকার ও কল্যাণ বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন মানবাধিকারকর্মী, যিনি কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ পাবেন।
বিজ্ঞাপন
প্রয়োজন অনুযায়ী আইন, ফরেনসিক মেডিসিন, মনোবিজ্ঞান বা মানসিক স্বাস্থ্য, জেন্ডার এবং আটক ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞদের কো-অপ্ট বা পরামর্শক হিসেবে যুক্ত করার ক্ষমতাও এই বিভাগকে প্রদান করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরও কার্যকর করা হচ্ছে এবং দেশজুড়ে নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রতিরোধে শক্তিশালী একটি কাঠামো গড়ে তোলা হবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।








