বাড়ছে মোবাইল-ইন্টারনেট ব্যবহার, কমছে টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা

বাংলাদেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব ক্রমেই দৃঢ় হচ্ছে। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এখন মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে, তবে টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে কমছে। এ চিত্র ফুটে উঠেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর সাম্প্রতিক ‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ ২০২৫–২৬’ (প্রথম প্রান্তিক) প্রতিবেদনে।
বিজ্ঞাপন
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, দেশের পরিবারের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ২০২৩ সালে ৪৩.৬ শতাংশ ছিল, যা ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬.২ শতাংশে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর হারও ২০২৪–২৫ সালে রেকর্ড ভেঙে ৭২.৮ শতাংশে পৌঁছেছিল, বর্তমানে তা সামান্য কমে ৭২.৪ শতাংশে অবস্থান করছে। অর্থাৎ, প্রতিটি পরিবারে মোবাইল ফোনের ব্যবহার এখন নিত্যসঙ্গী।
প্রায় ৯৮.৯ শতাংশ পরিবার বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। মোবাইল ও ইন্টারনেটের বিস্তৃত ব্যবহার থাকা সত্ত্বেও, কম্পিউটারের ব্যবহার এখনও সীমিত। ২০২৩ সালে যেখানে কম্পিউটারের উপস্থিতি ছিল ৮.৯ শতাংশ পরিবারে, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে তা সামান্য বেড়ে ৯.১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিদ্যুৎ সুবিধার প্রসারও প্রায় সর্বজনীন পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৩ সালে যেখানে ৯৯.১ শতাংশ পরিবারে বিদ্যুৎ পৌঁছেছিল, ২০২৫–২৬ প্রথম প্রান্তিকে তা সামান্য কমে ৯৮.৯ শতাংশে অবস্থান করছে।
বিবিএস জানায়, উচ্চ মাত্রার কভারেজ বজায় থাকায় দেশের মানুষ ডিজিটাল সুবিধা গ্রহণে অনুকূল পরিবেশে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইল-ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইন শিক্ষা, ডিজিটাল ব্যাংকিং, ই-কমার্স এবং সামাজিক যোগাযোগের ওপর মানুষের নির্ভরতা বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ভোট দিতে ৪ লাখ ৮৪ হাজার প্রবাসীর নিবন্ধন
অন্যদিকে, টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে কমছে, যা মিডিয়ার ভোক্তাভ্যাসে পরিবর্তনের একটি সুস্পষ্ট দিক নির্দেশ করে।
ডিজিটাল সুবিধার বিস্তার ও প্রযুক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের নাগরিকরা এখন তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জীবনযাত্রায় আরও সক্রিয় ও সংযুক্ত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের ডিজিটাল উন্নয়ন আরও শক্তিশালী হবে, এবং মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রমে প্রযুক্তির প্রভাব আরও বিস্তৃত হবে।








