মামুন হত্যা: দুই অস্ত্রধারীসহ গ্রেফতার ৫

পুরান ঢাকায় আদালতের সামনের গুলিবিদ্ধ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত দুই অস্ত্রধারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, ভিডিও ফুটেজে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে যে দুই ব্যক্তি সরাসরি তারিক সাইফ মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছে। সেই শুটারদের মধ্যে রয়েছে গ্রেফতার পাঁচজন।
উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা-লালবাগ) মো. মোস্তাক সরকার জানান, গ্রেফতারের পর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেফতার ব্যক্তিদের নাম, পরিচয় ও গ্রেফতার স্থান প্রকাশ করা হয়নি।
বিজ্ঞাপন
ঘটনা ঘটেছে সোমবার বেলা ১১টার দিকে। পুরান ঢাকার আদালতপাড়ার কাছে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফটকে তাড়া করে দু’জন অস্ত্রধারী সরাসরি মামুনকে গুলি করে হত্যা করেন।
সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, পিস্তল বা রিভলবারের মতো ক্ষুদ্র অস্ত্র হাতে দুই ব্যক্তি দ্রুত দৌড়ে আসেন, একাধিক গুলি চালান এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
বিজ্ঞাপন
মৃত্যুর আগে মামুন একসময়ের শীর্ষসন্ত্রাসী এবং সহকারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পুলিশের ধারণা, তারই একসময়ের সহযোগী ও পরিচিত সানজিদুল ইসলাম ইমনের সঙ্গে তার সম্পর্ক বিবেচনায় হত্যার পেছনে পূর্বপরিকল্পনা থাকতে পারে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইমনের লোকজনের হামলায় তার ওপর একটি আক্রমণ হয়েছিল, যার সময় আইনজীবি ভূবন চন্দ্র শীল নিহত হন।
চলতি বছরের ঘটনায় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ২০ বছরের সাজা খেটে বেরোনোর মাত্র তিন মাসের মাথায় মামুন আবারও হামলার শিকার হন। সোমবার তিনি একটি হত্যা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন, সেই সময়ে তাঁকে লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে গুলি চালানো হয়।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িতদের শনাক্ত ও অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে আরও তদন্ত চলছে। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য প্রমাণাদি সংগ্রহ করা হয়েছে, যাতে ঘটনার পেছনের পৃষ্ঠপোষক ও পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করা যায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক করে জানিয়েছে, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো যায়।








