জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের ক্ষমার অধিকার কারও নেই: জামায়াত আমির

২০১১ সালের পর সর্বোচ্চ এই নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠক করতে পারেনি জামায়াত।
বিজ্ঞাপন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে শেখ হাসিনার সরকার যে গণহত্যা করেছে, তাতে জড়িতদের ক্ষমার অধিকার কারও নেই বলে জানিয়েছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, প্রতিশোধ না নেওয়ার মানে, আইন হাতে তুলে নেব না। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অপরাধ যে করেছে, তার বিরুদ্ধে মামলা হবে এবং শাস্তিও পেতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতের মজলিসে শুরার বৈঠকে এসব কথা বলেন শফিকুর রহমান। যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর ধরপাকড়ে ২০১১ সালের পর সর্বোচ্চ এই নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠক করতে পারেনি জামায়াত।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “বিগত সরকার ক্ষমতার লোভে জেদের বশবর্তী হয়ে সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছে। সরকার শুধু স্থলভাগেই নয়, আকাশ থেকেও গুলি চালিয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের হত্যা করেছে। স্বাধীন দেশে পরিচালিত এই গণহত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাই খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “দল হিসেবে সাড়ে ১৫ বছর পরে আমাদের সঙ্গে বৈরী আচরণ করা হয়েছে। আমাদের নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। শেষ মুহূর্তে সরকার দিশেহারা হয়ে আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে। আমরা বলেছি আমরা প্রতিশোধ নেব না। এর মানে হচ্ছে আমরা নিজের হাতে আইন তুলে নেব না। কিন্তু যিনি সুনির্দিষ্ট অপরাধ করেছেন- তার বিরুদ্ধে মামলা হবে এবং তাকে শাস্তি পেতে হবে। গণহত্যার বিচার করতে হবে। ক্ষমতায় থাকতে যেসব অপরাধ করা হয়েছে তার বিচার করতে হবে।”
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি ক্ষতিগ্রস্ত যারাই মামলা করবেন, আইনের আশ্রয় নেবেন- কোনো মানুষের ওপর যেন বেইনসাফি না হয় সেদিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখতে হবে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে যেন আসামি করা না হয়।”
জেবি/এসবি
বিজ্ঞাপন








