জামায়াত অন্তত ১৬০টি আসন পাবে: সাদ্দাম

সামনে জাতীয় নির্বাচনে যে যে এলাকায় দায়িত্ব পালন করছি আমাদের জন্য এত সুযোগ তৈরি হয়েছে যা আমরা কোনো দিন কল্পনা করিনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।
বিজ্ঞাপন
এত বড় শিপমেন্ট আমরা আগে কখনো দেখিনি। আমাদের বিশ্বাস করতে হবে আমরা অন্তত ১৬০টি আসন পাব। আমাদের আগে ছিল ১৮টি, সর্বোচ্চ ৫০টি। আলহামদুলিল্লাহ শিপমেন্ট আরও অনেক বেশি হয়ে গেছে।
শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) সকালে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে খুলনা মহানগরী ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে সদস্য পুনর্মিলনী (১৯৭৭-২০২৫) অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় ছাত্র শিবিরের এই নেতা বলেন, বার্ধক্য আসার আগেই যৌবনের সময়কে মূল্য দিতে হবে। প্রাক্তন দায়িত্বশীলদের উচিত জামায়াত নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখা, কারণ নেতৃত্ব অনেক দূরদর্শিতা থেকে বিষয়গুলো দেখে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল না, সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুতে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যানেল দিতে পারছে না অনেকেই। যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বামদের আঁতুড়ঘর, আমাদের সেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আমাদের যে এত কিছু দিয়েছে।
খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাকিব হাসানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
বিজ্ঞাপন
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি অ্যাড. শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন মহানগরী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শেখ কামরুল আলমসহ বিভিন্ন সময়ের দায়িত্ব পালনকারী নেতারা।