৩শ' আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করছে বিএনপি, সরাসরি ফোন দিচ্ছেন তারেক রহমান

জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই পুরোদমে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে নেমেছে বিএনপি। দেশের বিভিন্ন আসনে দলীয় প্রার্থীরা শুরু করেছেন গণসংযোগ ও মাঠপর্যায়ের প্রচারণা। তবে, একাধিক প্রার্থীর সক্রিয়তায় কিছু এলাকায় তৈরি হচ্ছে সংঘাতের পরিস্থিতি, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিজ্ঞাপন
এই প্রেক্ষাপটে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান অফিসে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। এসব বৈঠকের একাধিকটিতে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বগুড়ার জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন জানান, “আমাকে সরাসরি তারেক রহমান ফোন দিয়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। জানতে পেরেছি, আরও তিনজন নেতাকেও তিনি ফোন দিয়েছেন। এটি দলের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত বলেই মনে করছি।”
বিজ্ঞাপন
একইভাবে আমজাদ হোসেন (মেহেরপুর-২) বলেন, “আমাকে বলা হয়েছে, গাংনীতে ধানের শীষের পক্ষে মাঠে কাজ শুরু করতে হবে।”
অন্যদিকে মাসুদ অরুণ (মেহেরপুর-১) জানিয়েছেন, “জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রাখার ভিত্তিতেই আমাদেরকে মাঠে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া-১ এ কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৩ এ আবদুল মহিত তালুকদার, বগুড়া-৪ এ মোশাররফ হোসেন এবং বগুড়া-৫ এ জি এম সিরাজের নাম চূড়ান্ত।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীতেও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্দেশনা দেওয়া শুরু হয়েছে। ঢাকা-১৬ আসনে আমিনুল হক, ঢাকা-৮ এ মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৪ এ তানভীর আহমেদ রবিনকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এছাড়া, জোট মিত্র ববি হাজ্জাজকে ঢাকা-১৩ এবং আন্দালিব রহমান পার্থকে ঢাকা-১৭ আসনে বিবেচনা করা হচ্ছে। নির্দলীয় প্রার্থী রাখার চিন্তা আছে ঢাকা-১৪ আসনে।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, “যে নির্দেশনা পেয়েছি, সেই অনুযায়ী জনগণের কাছে যাচ্ছি। জোটের সহযোগীদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।”
এদিকে, ডিসেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তবুও আগে থেকেই প্রার্থী চূড়ান্ত করার কারণ জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন,
বিজ্ঞাপন
“আমরা জনগণের কাছে সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরতে সময় চাই। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সময় থাকে খুবই কম। তাই আমরা আগেভাগেই মাঠে নামতে চাই।”
দলীয় সূত্র জানায়, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ৩০০ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হবে। তবে, জোটের সমন্বয় ও কৌশলগত কারণে অন্তত ৫০টি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে।