আ.লীগের হাইকমান্ডকে ইঙ্গিত করে সোহেল তাজের স্ট্যাটাস

রাজনীতির মাঠে ফের উত্তাপ ছড়াচ্ছে আগামী ১৩ নভেম্বর ঘোষিত আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে ঘিরে। গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দলটি পুনরায় মাঠে নামায় রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। সহিংসতা, অরাজকতা আর পাল্টা কর্মসূচিতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ।
বিজ্ঞাপন
এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
‘ক্ষমতার কি লোভ—১ লাখ বেলুন নাকি বাসে আগুন?” শিরোনামে দেওয়া সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গণহত্যা, গুম-খুন করে, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার বিলুপ্ত করে, দুর্নীতি-লুটপাট করে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে তারা। সেই টাকার পাহাড়ে বসে এখন আবার অরাজকতা আর তাণ্ডব সৃষ্টি করছে—নির্বাচন বানচাল করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ ধ্বংস করার লক্ষ্যে।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ‘আমার আশ্চর্য লাগে, যখন চিন্তা করি—যে এত কিছুর পরও এদেরকে আওয়ামী লীগের একটা অংশ কীভাবে সমর্থন করে? এর মানে একটাই—এরাই ছিল সুবিধাভোগী। আর এখন এরই পরিণতি হিসেবে খেসারত দিতে হবে নিরীহ, নিরপরাধ নেতাকর্মীদের।’
যদিও পোস্টে তিনি সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করেননি, তবুও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তার ইঙ্গিত ছিল আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের দিকেই। কারণ, ৫ আগস্টের পর থেকে সোহেল তাজ প্রকাশ্যে তার সাবেক দলের নানা কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন।
বিজ্ঞাপন
তাঁর এই বক্তব্যে নতুন করে আলোচনায় এসেছে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ মতভেদ ও নেতৃত্ব সংকট। অনেকেই মনে করছেন, সোহেল তাজের এই স্ট্যাটাস কেবল রাজনৈতিক হতাশার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ে নৈতিক প্রশ্নও উত্থাপন করছে।







