বিএনপি মানেই উন্নয়ন: আমান উল্লাহ আমান

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, বিএনপি মানেই উন্নয়ন। সতের বছর কেরানীগঞ্জে উন্নয়ন বলতে কিছুই হয়নি। কেরানীগঞ্জে যে উন্নয়ন মানুষ চোখে দেখে, তার সবই বিএনপির আমলেই হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে কেরানীগঞ্জে শাক্তা স্কুল মাঠে শাক্তা অগ্রপথিক তরুণ সংঘ আয়োজিত শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপি এই নেতা।
এ সময় তিনি অতীত স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৯১ সালে পুরো কেরানীগঞ্জে একটাই ইটের রাস্তা ছিল— জিনজিরা সৈয়দপুর রোড। মোমিন কোম্পানির ‘মুড়ির টিন’ নামের বাস চলত। এই রাস্তাটিকে কেউ কেউ বলত ‘পাজামা রাস্তা’। বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে বিএনপি কেরানীগঞ্জকে বদলে দিয়েছে রাস্তাঘাট, সেতু-কালভার্ট, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ডিজিটাল টেলিফোন, স্কুল-কলেজ— সবই করেছি আমরা।
বিজ্ঞাপন
এরপর উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি ‘আপনারা আমাকে চারবার এমপি বানিয়ে কি লাভবান হয়েছেন?’ মুহূর্তেই মাঠজুড়ে একস্বর উত্তর— ‘হয়েছি’।
জবাব শুনে আমান বলেন, এবারও ধানের শীষে ভোট চাই। যদি আমাকে নির্বাচিত করেন, ইনশাআল্লাহ অসম্পূর্ণ সব উন্নয়ন শেষ করে কেরানীগঞ্জকে আধুনিক শহরে রূপ দেব।
ফাইনালে মুখোমুখি হয় বলসতা ইয়ং ক্লাব ও বেল্ট ফ্যাক্টরি একাদশ। নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকার পর ম্যাচ যায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জিতে শিরোপা তুলে নেয় বলসতা ইয়ং ক্লাব। দলের সাকিব নির্বাচিত হন সেরা খেলোয়াড়। পরিশেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের হাতে ট্রফি ও প্রাইজমানি তুলে দেন আমান উল্লাহ আমান।
বিজ্ঞাপন
শাক্তা স্কুল মাঠের পুরো এলাকা জমে ওঠে খেলা ও পুরস্কার বিতরণকে কেন্দ্র করে। স্থানীয়রা বলছেন, এমন আয়োজন কেরানীগঞ্জের তরুণদের খেলাধুলার জোয়ারে আবার ফিরিয়ে আনবে।
শাক্তা অগ্রপথিক তরুণ সংঘের সভাপতি এমএ বাকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার সাবেকুন নাহার, আয়েশা হাসপাতালের চেয়ারম্যান হাজি তাইজুদ্দিন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজি শামীম হাসান, সহসভাপতি হাজি রুহুল আমিন, দপ্তর সম্পাদক জানে আলম সুমন, সদস্য জাহিদ হোসেন, কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হাজি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।








