জামায়াত প্রার্থী তালিকায় বড় চমক, দিতে পারে অমুসলিম-নারী-উপজাতি

বাংলাদেশ জামায়তে ইসলামীর চলমান নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বড় চমক দেখানোর প্রস্তুতি চলছে। দলটি প্রার্থী তালিকায় অমুসলিম, নারী, জুলাই অভ্যুত্থান যোদ্ধা, ছাত্র প্রতিনিধি ও উপজাতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় সূত্র।
বিজ্ঞাপন
জামায়াতের নির্বাচনি টিম বর্তমানে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্তকরণের কাজ করছে। পূর্বে ঘোষিত তালিকায় কিছু বড় পরিবর্তন আসতে পারে, যেখানে শরিকদের জন্য আসন সংরক্ষণ ছাড়াও নতুন প্রার্থী যুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষত অন্তত চারজন সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর এবং সাম্প্রতিক ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি ও জিএসদের মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বিজ্ঞাপন
জুলাই আন্দোলনের পর অমুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে জামায়াতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। মন্দির পাহারা, পূজার নিরাপত্তা ও ধর্মীয় উপাসনালয় রক্ষায় দলটির সক্রিয় ভূমিকা তাদের মধ্যে আস্থা জাগিয়েছে। তাই এবার অমুসলিম সম্প্রদায় থেকে একাধিক প্রার্থী এবং একজন উপজাতি প্রার্থীও অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেন, ৮ দলের শরিকরা আসন ভাগাভাগির পরিকল্পনায় নেই, তারা শুধু বিজয়ী প্রার্থী নির্ধারণ করতে চায়। যাকে যেখান থেকে মনোনয়ন দিলে জিতবে, তাকেই চূড়ান্তভাবে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদেরও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাই।
বিজ্ঞাপন
জামায়াতের প্রাথমিক তালিকায় নারী প্রার্থী ছিল না। তবে চূড়ান্ত তালিকায় উচ্চশিক্ষিত ও সুপরিচিত কয়েকজন নারীকে প্রার্থী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
দলের এই সিদ্ধান্ত প্রার্থী নির্বাচনকে আরও বৈচিত্র্যময় এবং সমন্বিত করতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উদ্যোগ কেবল দলের ভেতরে একতা বজায় রাখবে না, বরং ভিন্ন সম্প্রদায়ের ভোটারদেরও দলটির দিকে আকৃষ্ট করবে।








