যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ে গ্রেডিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে এনসিপি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের প্রার্থীদের যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য নতুন ‘গ্রেডিং পদ্ধতি’ চালু করেছে।
বিজ্ঞাপন
দলটি জানিয়েছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, বৈধ আয় ও আর্থিক স্বচ্ছতা, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ, প্রস্তাবিত সংক্ষিপ্ত ইশতেহার এবং ব্যক্তিগত মোটিভেশন—মোট ছয়টি মানদণ্ডের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই করা হবে।
দলের যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দীন মোহাম্মদ জানান, কোনো আসনে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলে গ্রেডিং পদ্ধতির মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। প্রার্থীদের সমস্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে সামগ্রিক যোগ্যতার ভিত্তিতে শর্টলিস্ট তৈরি করা হবে।
বিজ্ঞাপন
এনসিপির শীর্ষ সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হওয়ায় দেড় হাজারের বেশি প্রার্থী আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আগামী রবিবার ও সোমবার ঢাকার আবু সাঈদ কনভেনশন হলে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভার মাধ্যমে প্রার্থীদের প্রাথমিক মূল্যায়ন করা হবে এবং ৩০টি সাব-বোর্ডের মাধ্যমে ফরমাল গ্রেডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
দলের নেতৃত্বের মতে, এনসিপি প্রথাগত স্বার্থনির্ভর রাজনীতির বাইরে গিয়ে নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জাতীয় স্বার্থমুখী নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ লক্ষ্যেই দলের মনোনয়ন প্রক্রিয়া ও গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, চিকিৎসক, আলেম ও শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন। অনেকেই জীবনে প্রথমবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে বিএনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দীন মোহাম্মদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য ৩০০ আসনে তরুণদের মধ্য থেকে আগামী দিনের নেতৃত্ব গড়ে তোলা। নির্বাচনে জয় বা হারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যোগ্য নেতৃত্বকে সামনে আনা।
এনসিপি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা-১৮ আসনের নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, ঢাকা-৮ আসনের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, রংপুর-৬ আসনের মাসুম বিল্লাহ, কুমিল্লা-৪ আসনের হাসনাত আবদুল্লাহ এবং অন্যান্য আসনের জন্য বিভিন্ন পেশাজীবী ও সমাজসেবী প্রার্থী। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আরও কয়েকশ মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরম সংগ্রহ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন, প্রার্থী বাছাইয়ের এই গ্রেডিং পদ্ধতি জাতীয় রাজনীতিতে একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করবে। এটি নির্বাচনের যোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। দল আশা করছে, মনোনয়নপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা আগামী সপ্তাহেই প্রকাশ করা সম্ভব হবে।








