শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী ট্রানজিশন এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ

তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করাই এখন দেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যদি এই ট্রানজিশন ‘পিসফুলি’ না ঘটে, তাহলে অস্থিতিশীলতা থেকে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘চতুর্থ বাংলাদেশ অর্থনীতি সম্মেলন ২০২৫’-এ অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, শিক্ষা খাতসহ দেশের বিভিন্ন স্পর্শকাতর ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার প্রয়োজন। গত ১৬ বছর ধরে যে ক্ষয়ক্ষতি ও কাঠামোগত দুর্বলতা তৈরি হয়েছে, তা রাতারাতি বদলে ফেলা সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে সিঙ্গাপুর বা ইউরোপে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে: মান্না

তিনি বলেন, এটা এক বছর বা দেড় বছরে হওয়ার মতো কাজ নয়। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে তরুণদের ব্যাপক অংশগ্রহণ থেকে বোঝা যায়, তাদের আন্দোলনের পেছনে ছিল গভীর অর্থনৈতিক প্রেরণা ও স্বপ্ন। যদি আমরা সেই উদ্বেগগুলো চিহ্নিত করতে পারি এবং সমাধান করতে সক্ষম হই, তাহলে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক সংস্কার সফলভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব।

তরুণদের আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরে নাহিদ বলেন, ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, এবং পরবর্তী সময়ের ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থান—সবই মূলত কর্মসংস্থান সংকট, অব্যবস্থাপনা ও হতাশা থেকে উৎসারিত। একই বছরে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনও তরুণদের জীবনের নিরাপত্তা ও টেকসই নগর পরিকল্পনার দাবি সামনে নিয়ে আসে।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার আজকের অসুস্থতা স্বাভাবিক নয়: মির্জা আব্বাস

তিনি বলেন, ঢাকা ও দেশের অন্যান্য মহানগরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বায়ুদূষণ, ট্রাফিক জ্যাম, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কর্মসংস্থান সংকট এবং ভাড়ার চাপ—এসবের মধ্য দিয়ে শহরের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তকে জীবনযাপন করতে হয়। এই বাস্তবতায় তরুণদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ছিল মূলত সেই ব্যর্থ নগর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রশ্ন।

নাহিদ ইসলাম মনে করেন, দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করবে তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণ এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক রূপান্তর নিশ্চিত করার ওপর।